বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, নিয়োগকর্তাদের অবশ্যই বিদেশি শ্রমিকদের জন্য জনপ্রতি কর দিতে হবে। শ্রমিকদের পুনরায় নিবন্ধনের জন্যই এ কর।
এছাড়া এই নীতি কার্যকরের আগেও যারা শ্রমিকদের জন্য কর দিয়েছেন তাদের নতুন করে কর দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই আইন ও নিয়মের বিরুদ্ধে যেসব মালিক অসন্তোষ প্রকাশ করবেন, বিরোধিতা করবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরই মধ্যে নিয়োগকর্তাদের থেকে এ বিষয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। বিদেশি শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ দিতে হলে এই কর দিতেই হবে।
পেনিনসুলা মালয়েশিয়ায় ম্যানুফেকচারিং, নির্মাণশিল্প ও সার্ভিস সেক্টরে বিদেশি শ্রমিকদের জন্য এই কর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮শ ৫০ রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় ৩৭ হাজার)। প্লান্টেশন ও কৃষিখাতে বিদেশি শ্রমিকদের জন্যে কর ৬শ ৪০ রিঙ্গিত (১২ হাজার ৮শ টাকা) এবং গৃহশ্রমিকদের জন্য ৪শ ১০ রিঙ্গিত থেকে ৫শ ৯০ রিঙ্গিত। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১১ হাজার ৮০০ টাকা।
তবে সাবা ও সারওয়াকে এই কর ভিন্ন। ম্যানুফেকচারিং ও নির্মাণ শিল্পে এই কর ১ হাজার ১০ রিঙ্গিত বা ২০ হাজার ২শ টাকা। প্লান্টেশনে ৫শ ৯০ রিঙ্গিত বা ১১ হাজার ৮শ টাকা, কৃষিতে ৪শ ১০ রিঙ্গিত বা ৮ হাজার ২শ টাকা এবং গৃহশ্রমিকদের জন্য এ কর ৪শ ১০ রিঙ্গিত থেকে ৫শ ৯০ রিঙ্গিত। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮ হাজার ২শ টাকা থেকে ১১ হাজার ৮শ টাকা।
মালয়েশিয়ার ১১তম পরিকল্পনা অনুযায়ী বিদেশি শ্রমিকদের ব্যবস্থাপনা গুছিয়ে রাখতে চায় এবং ২০২০ সালের মধ্যে বিদেশি শ্রমিকদের ওপর নির্ভরশীলতা ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে চায়।
এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভায় বিল পাস হয়। যা চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হওয়ার কথা ছিল। তবে নিয়োগকর্তাদের আপত্তির মুখে একবছর পিছিয়ে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হচ্ছে এ কর ব্যবস্থা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০১৭
এমএন/এএ