এ কথা বলেছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম ও বিশিষ্ট মুফাসসিরে কোরআন হাফেজ মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম। তিনি বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলছিলেন।
মাহে রমজানকে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও নবী মুহাম্মদ (সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী জীবন যাপনের প্রশিক্ষণের মোক্ষম সময় হিসেবে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুহিদ্দীন কাসেম বলেন, এই রমজানে সব ধরনের গুনাহ বর্জন করতে হবে। আল্লাহ সন্তুষ্ট হোন এমন কাজ করতে হবে এবং আল্লাহ তায়ালা অসন্তুষ্ট হন এমন সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। পাশাপাশি প্রিয় নবী (সা.) এর সুন্নত অনুযায়ী জীবন যাপনের প্রশিক্ষণ নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করতে হবে। রমজান থেকে শিক্ষা নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘ইয়া আইয়্যুহাল্লাজিনা আমানু কুতিবা আলাইকুমুস সিয়ামু কামা কুতিবা আলাল্লাজিনা মিন ক্বাবলিকুম লাআল্লাকুম তাত্তাকুন’। এর তাৎপর্য বুঝে আমাদের মুত্তাকি হওয়ার শিক্ষা নিতে হবে। নিতে হবে সহযোগিতা করার শিক্ষাও। মানুষের বিপদ-আপদে এগিয়ে আসা, তাদের জন্য ব্যথিত হওয়া এবং তাদের দুঃখ-কষ্টে দুঃখিত হওয়াও রমজানের শিক্ষা।
বায়তুল মোকাররমের পেশ ইমাম বলেন, এই রোজা সামাজিক বন্ধন মজবুতিকরণে আমাদের শিক্ষা দেয়। আমাদের এক কাতারে দাঁড়িয়ে তারাবীর নামাজ আদায়ের সুযোগ দিয়ে পরস্পরের মধ্যে সৌহার্দ্য বাড়িয়ে দেয়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা বলে। বলে দরিদ্রদের পাশে দাঁড়ানোর কথা, যাকাত ও দান-সদকার মাধ্যমে তাদের দারিদ্র্য নিরসনের কথা এবং পরস্পর ভালোবাসার বন্ধনে জড়ানোর কথা।
এতো শিক্ষার বার্তা নিয়ে আসা এই রোজা থেকে যেন সর্বোচ্চটি উজাড় করে নিতে পারেন মুসলিমরা, সে প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেম।
{সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মাওলানা সেলিম হোসাইন আজাদী
ছবি ও ভিডিও: রাজীন চৌধুরী}
বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, মে ২৪, ২০১৮
এইচএ/