ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আরও

‘রমজানে একটি ফরজ আদায়ে ৭০ ফরজের সওয়াব’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১৯
‘রমজানে একটি ফরজ আদায়ে ৭০ ফরজের সওয়াব’ ময়মনসিংহ নগরীর রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা রফিকুল আলম হামিদী।

ময়মনসিংহ: আল্লাহর হুকুম পালনে মানুষ রোজা রাখে। রোজা আল্লাহর কাছে অনেক প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ। রমজানের রোজার সওয়াব আল্লাহ নিজ হাতে দিবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তাই রমজানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে প্রথম কাজই হবে আল্লাহভীতি।

যে রোজা রাখে সে মুক্তাকি বা আল্লাহভীরু। খোদাভীতির মাধ্যমেই প্রত্যেকটি মানুষকে মুক্তাকি হতে হয়।

মুক্তাকি বা আল্লাহভীরু হওয়া সহজ নয়। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বহুবার বলেছেন, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। ’ 

কথাগুলো বলছিলেন, ময়মনসিংহ নগরীর রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা রফিকুল আলম হামিদী। সম্প্রতি রমজান-প্রসঙ্গে বিশিষ্ট এ আলেমের সঙ্গে কথা হয় বাংলানিউজের।  

তিনি বলেন, রোজা মুসলমানদের জন্য আল্লাহর ফরজ ইবাদত। মুসলমান হিসেবে সবার উচিত রমজান মাসকে যথাযথ মর্যাদায় পালন করা।  

রমজান হচ্ছে আল্লাহর দেওয়া সওগাত। রমজানের পবিত্রতা রক্ষার মাধ্যমে নিজেকে সব ধরণের অন্যায়-অপরাধ-অশ্লীলতা থেকে নিজেকে রক্ষা অপরিহার্য।

সাহরি থেকে শুরু করে রমজানের সব আমলের পরেই রয়েছে দোয়া। যেমন ইফতার সামনে রেখে ‘ইয়া ওয়াসিয়াল ফাজলি ইগ ফিরলি’-দোয়া পড়লে আল্লাহ বান্দার সব গুনাহ মাফ করে দেন।  

রহমতের এ মাসে নফল ইবাদত করলে ফরজের সমান সওয়াব মেলে। একটি ফরজ আদায় করলে ৭০ টি ফরজ আদায়ের সওয়াব পাওয়া যায়।

রমজানের আমল-আখলাক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সকল প্রকার অশ্লীলতা বর্জন করে আল্লাহর প্রতি ইবাদত-বন্দেগিতে এগিয়ে যেতে হবে। রমজানের পবিত্রতা শতভাগ রক্ষা করতে হবে।  

নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে সব ধরনের অন্যায়, অবিচার, জুলুম, গুনাহর হাত থেকে। রমজানে শারীরিক, মানসিক ও আত্নিক উপকার পাওয়া যায়।

রোজা ধৈর্য, বিনয় ও সহ্যক্ষমতা সৃষ্টি করে মন্তব্য করে মাওলানা রফিকুল আলম বলেন, পবিত্র মাহে রমজানে সবরের পুরস্কার হচ্ছে জান্নাত। যিনি ধৈর্য ধরে সঠিকভাবে রোজা রাখবেন আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন। ’

আল্লাহ মানুষের অন্তর দেখেন জানিয়ে তিনি বলেন, যারা ঠিকমতো রোজা রাখেন আল্লাহ তাদের জীবনে পরিবর্তন এনে দেন। তাদের জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেন।  

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আল্লাহর নবী (সা.) বলেছেন, রমজান মাসে কোনো ব্যক্তি কাউকে ইফতার করালে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেবেন। রমজানে যাতে কোনো প্রকার নফল ছুটে না যায় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকা চাই। রমজান হলো সততা, পবিত্রতা ও নিষ্ঠা। যাকাতের নামে যেন প্রহসন না হয়।  

জাকাত ট্র্যাজেডি যাতে না হয় সেদিকে সবার সতর্ক থাকা বাঞ্চনীয় বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, রমজান মাসে পবিত্র কোরআন আঁকড়ে ধরতে হবে। কোরআন শুদ্ধ করে পড়ার চেষ্টা করতে হবে। জিকির-ইবাদত বাড়াতে হবে।  

রমজানে খাদ্যে ভেজাল বা দ্রব্যমূল্য নিয়ে মুনাফাখোরি করা যাবে না বলেও তাগিদ দেন তিনি- ‘বাজারে কৃত্রিম সংকট করে জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া করা ঠিক না।  রমজানকে সামনে রেখে একশ্রেণির ব্যবসায়ী যেভাবে মানুষকে ভোগান্তির শিকার করে তা সম্পূর্ণ অনুচিত। সবাইকে রমজানে সংযমের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য যা খুবই প্রয়োজন।

রমজানবিষয়ক যেকোনো লেখা আপনিও দিতে পারেন। লেখা পাঠাতে মেইল করুন: bn24.islam@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘন্টা, মে ১৯, ২০১৯
এমএএএম/এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।