ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আরও

‘দুনিয়াতেই করে যেতে হবে জান্নাতের ব্যবস্থা’

উত্তম ঘোষ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
‘দুনিয়াতেই করে যেতে হবে জান্নাতের ব্যবস্থা’

যশোর: সংযমের মাস রমজান। গুনাহ মাফের জন্য এই মাসকে আমাদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। রমজান মাসে যেন আমরা পরবর্তী জীবনের পটভূমি পরিবর্তন করে ফেলতে পারি, সেই পর্যায়ের নেক আমল করতে হবে। শুধু রোজা রাখলেই হবে না, রোজার পাশাপাশি অধিক পরিমাণ আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে।

রমজানের গুরুত্ব ও ফজিলত প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে নওয়াপাড়া পীরবাড়ী মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহ্তামিম এবং পীরবাড়ী দরবার শরীফের বর্তমান পীর আলহাজ হাফেজ শাহ আব্দুল্লাহ বোখারী এসব কথা বলেন ।

রমজানের গুরুত্ব প্রসঙ্গে শাহ আব্দুল্লাহ বোখারী বলেন, আল্লাহর স্মরণের বিকল্প নেই।

আর আল্লাহর স্মরণ হচ্ছে জিকির করা। কোরআন তেলাওয়াত, নামাজ আদায়, বসে বসে আল্লাহকে জিকির, কোরআন নিয়ে আলোচনা কিংবা হাদিস নিয়ে কথা বললেও জিকির করা হয়। সুতারাং আমরা যদি ভালো কাজের মধ্যে সবসময় নিজেদের ব্যস্ত রাখি এবং আলোচনায় রাখি যে, আমরা দুনিয়ায় যে কাজটি করবো সেটা যেন আখেরাতের পাথেয় হয়।

‘প্রত্যেকের মনে রাখা জরুরি, আমাদের একদিন মৃত্যুবরণ করতেই হবে। কবরে যাওয়ার পর যেন, মরদেহ রাখার সঙ্গে সঙ্গে আমরা জান্নাতের আরাম-আয়েশ ভোগ করতে পারি। ফলে সে পর্যায়ের নেক আমল আমাদের দুনিয়াতেই করে যেতে হবে। ’

তিনি আরও বলেন, দুনিয়াতে আমরা যে কাজগুলো করছি, এই কাজগুলো যেন আখেরাতের পাথেয় হয়। দুনিয়ার কাজ যেন কোনোভাবেই শুধু দুনিয়ায় থেকে না যায়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের কোনো কথার দ্বারা, কাজের দ্বারা যেন কোনো মানুষ কিংবা কোনো সৃষ্টি কষ্ট না পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এমনকি, আমাদের কথার দ্বারা, কাজের দ্বারা, চিন্তা-ভাবনার দ্বারা যেন রাসুলুল্লাহ (সা.) এর বরকতময় জীবনের আদর্শ প্রতিফলিত হয় সেজন্য সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে।

আলহাজ হাফেজ শাহ আব্দুল্লাহ বোখারী বলেন, আল্লাহ তায়ালা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে  বলেছেন যে, আপনি বান্দাদের বলে দিন তারা যদি আল্লাহ তায়ালাকে ভালোবাসতে চায়, তাহলে তারা যেন আপনাকে অনুসরণ-অনুকরণ করে। যাতে আল্লাহ তায়ালা তাদের ভালোবাসেন, তাদের গুনাহ মাফ করে দেন। ফলে রাসুলুল্লাহ (সা.) এর আনুগত্য প্রকাশ করলেই আল্লাহর আনুগত্য প্রকাশ করা হয়। তোমরা আল্লাহ এবং রাসুলুল্লাহর আদেশ মান্য করো, যাতে তোমাদের উপর রহমত দান করা হয়।

এক কথায় বলতে গেলে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর সুন্নত পালনের মাধ্যমে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে ভালোবেসে ফেলতে হবে। এবং আমরা যখনই কেবল রাসুলুল্লাহর মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করবো তখনই কেবল আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভালোবাসা গ্রহণ করবেন।

রাসুলুল্লাহর এই মাধ্যমকে সবার খেয়াল রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমরা কেউ যেন সরাসরি আল্লাহ তায়ালাকে পাওয়ার চেষ্টা না করি। আল্লাহ তায়ালাকে পেতে হলে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নিজের জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসতে হবে এবং জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালাকে অধিক পরিমাণ স্মরণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, মে ১৫, ২০২০
ইউজি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।