ঢাকা: চুক্তির মেয়াদ শেষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর অবসরে যাচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তার জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার।
ব্রিফিংয়ের সময় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিদায়ী মন্ত্রিপরিষদ সচিব। খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মানুষের কথা চিন্তা করে দেশের কল্যাণের জন্য কাজ করার চেষ্টা করে গেছি। কাজ করতে গিয়ে ভুল ত্রুটি হয়েছে, দেশবাসীর কাছে অনুরোধ জানাই ক্ষমা করে দেওয়ার।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। বলেন, আজ অফিসিয়ালি আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে শেষ (ব্রিফিং)। মন্ত্রিসভা ধন্যবাদ দিয়েছেন।
নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে আনোয়ারুল বলেন, আই হ্যাভ রিটায়ার্ড। এখন আল্লাহর রহমতে দেখা যাক কী করা যায়। এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয় সরকার যদি কোনো প্রকল্প বা কোনো খাতে যদি আপনাকে অফার করে, কী করবেন। তিনি বলেন, এগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
সরকারের সঙ্গে থেকে কাজ করার ইচ্ছা আছে কিনা প্রশ্ন করলে অনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি তো করেছি সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে। আমি ভেরি লাকি, সম্ভবত ৪০ বছর; আমি সেক্রেটারিও ছিলাম ১২ বছর থেকে, ২০১১ থেকে। ধন্যবাদ আপনাদের (সাংবাদিক) কথাও মনে থাকবে। আপনাদের সবার প্রতি আমার দোয়া রইলো।
এ সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ, গুড গভর্নেস, রাইট টু ইনফরমেশন, এনআইএস’র মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজে নিজের সম্পৃক্ততার কথা জানান তিনি। বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ যে কয়জনের হাতে হয়েছে তার মধ্যে আমি ছিলাম। উনি আমাদের দুটি থিম দিয়ে দিয়েছেন, সার্ভিস অ্যাট দ্য ডোর স্টেপস ফর দ্য পিপল এবং সার্ভিস অ্যাট দ্য ফিঙ্গার ফর দ্য পিপল। উনি বললেন তোমরা বাস্তবায়ন করবে, যা লাগবে টাকা পয়সা দিয়ে দেব। আমরা এক দিনেই ৪ হাজার ৫০০ ইউনিয়নে ২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার করা শুরু করেছিলাম। আমার ওপর দায়িত্ব ছিল চর কুঁকড়িমুকড়িতে। সেখানে আমার হাত দিয়ে হ্যান্ডেল হয়েছে। আজকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে সুফল তার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলাম।
প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন, মেগা প্রজেক্টগুলো বাস্তবায়ন হয়েছে। পদ্মাটা ভালোভাবে করার ফলে অন্যান্য মেগা প্রজেক্টগুলো সফল হয়েছে। আমরা সেটায় সম্পৃক্ত ছিলাম। কিন্তু করোনাভাইরাস তাদের পিছিয়ে দিয়েছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এমআইএইচ/এমজে