ঢাকা: চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আসা মোট অভিযোগ থেকে মাত্র সাড়ে চার শতাংশ অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়েছে। দুদকের মাসিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
দুদকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত কমিশনে ১৮ হাজার ১৯টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এগুলো যাচাই-বাছাই করে ৮৪০টি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করেছে কমিশন। যা মোট জমা হওয়া অভিযোগের ৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, দুদকে আসা অভিযোগের বিষয়ে সরাসরি অনুসন্ধান না করে বা অনুসন্ধানের প্রয়োজনীয়তা মনে না করায় ৩ হাজার ৬০টি অভিযোগের ক্ষেত্রে সতর্ক করে চিঠি দেওয়া হয়েছে। যা মোট অভিযোগের ১৭ শতাংশ। এছাড়া বিভিন্ন কারণে কমিশন অনুসন্ধান করতে পারেনি বা অনুসন্ধানের প্রয়োজন মনে করেনি ১৪ হাজার ১১৯টি অভিযোগ যা মোট অভিযোগের ৭৮ শতাংশ।
অভিযোগের তুলনায় অনুসন্ধান কম হওয়ার কারণ জানিয়ে দুদক কমিশনার মো. জহুরুল হক বাংলানিউজকে বলেন, যে পরিমাণ অভিযোগ এসেছে তার বেশিরভাগই অসুসন্ধানের জন্য নিতে পারি না। কারণ এসব অভিযোগের একটি বড় অংশই দুদকের তফসিলভুক্ত অপরাধ নয়। যে কারণে দুদকের সেসব অভিযোগ গ্রহণের এখতিয়ার নেই। তফসিলভুক্ত না হলে আমরা অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য নিতে পারি না।
জহুরুল হক আরও বলেন, দুদক বিভিন্ন মাধ্যম থেকে যেসব অভিযোগ গ্রহণ করে তা অনেক সময় অসম্পূর্ণ থাকে। কমিশনে যে কয়টি সোর্সের মাধ্যমে অভিযোগ গ্রহণ করা হয় তার একটি সরাসরি বা ডাকযোগ। এছাড়া বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা সংবাদও অভিযোগ হিসেবে নেওয়া হয়। কমিশন অভিযোগগুলো প্রাথমিক সত্যতা পেলে তা অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এসআর/এফআর