ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সাংবাদিক সেজে করতেন মাদকের কারবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
সাংবাদিক সেজে করতেন মাদকের কারবার

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকা ‘দৈনিক মাতৃভূমির খবর’-এর সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক কারবার চালিয়ে আসছিলেন মুকুল হোসেন ওরফে মকবুল আহমেদ (৪৪)। মাদক পরিবহনে তার প্রধান সহযোগী ফয়সাল (২৭) বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক।

জানা গেছে, ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে ওই ব্যাংক কর্মকর্তার ‘আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট’ স্টিকার সম্বলিত গাড়িটি মাদক পাচারে ব্যবহার করতেন ফয়সাল।

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর বংশাল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক কারবারি চক্রের ৪ চার সদস্যকে আটক করে র‍্যাব-৩। এসময় ৫০ কেজি গাঁজাসহ জব্দ করা হয় মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার।

আটকরা হলেন- মুকুল হোসেন ওরফে মকবুল আহমেদ (৪৪), আব্দুল শাহীন ওরফে নোমান হোসেন (৩৩), ফয়সাল (২৭) ও আল-আমিন হোসেন (২৪)।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর টিকাটুলি র‍্যাব-৩ এর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এ চক্রের মূলহোতা মুকুল হোসেন। তিনি ‘দৈনিক মাতৃভূমির খবর’-এর সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গাঁজা সরবরাহ করে আসছিলেন। তার প্রধান সহযোগী ফয়সাল বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তার ব্যক্তিগত গাড়ির চালক।

ছুটির দিনে বা অবসর সময়ে সুযোগ বুঝে ফয়সাল মালিকের গাড়ি ব্যবহার করে মাদক পরিবহন করতেন। গাড়ির আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের স্টিকার ব্যবহার করে তিনি সহজেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতেন।

র‍্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রের মূলহোতা মুকুল ২৫ বছর ধরে বিভিন্ন পরিবহনের চালক হিসেবে কাজ করতেন। গত জুন মাস থেকে ‘দৈনিক মাতৃভূমির খবর’-এর চালক হিসেবে চাকরি শুরু করেন। এ সুযোগে সাংবাদিকতার লোগো ব্যবহার করে মাদক চোরাচালানের কাজ চালাতেন।

দুই মাস আগে চাকরিচ্যুত হলেও পত্রিকার লোগো সম্বলিত একটি মাইক্রোফোন মাদক বহন করা গাড়িতে রাখতেন। তল্লাশির মুখে পড়লে নিজেকে সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার বলে পরিচয় দিয়ে সহজেই পার পাওয়ার চেষ্টা করতেন।

এছাড়া, আটক শাহীন ও আল-আমিন বিভিন্ন জায়গা থেকে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছিলেন। তাদের সবার নামেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।

আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
পিএম/এমএইচএচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।