গোপালগঞ্জ: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘কোনো সংস্থা অন্যায় করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। যথা নিয়মে সেটা মীমাংসা করার চেষ্টা করতে হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে গঠিত “জেলা মানবাধিকার কমিটি”র সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন একটি বেআইনি সংস্থা। এ নামে যদি কেউ পরিচয় দেয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন নামে কোনো কমিশন বাংলাদেশে নেই। ’
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘এক সময় একটা ছিল, তারা অনেক অন্যায় করেছে, অনেকভাবে চাঁদাবাজি করেছে, মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। তারা কমিশন বলে পরিচয় দিত, কিন্তু তারা কোনো কমিশন নয়। কোনো বেসরকারি সংস্থা কোনোদিন কমিশন হতে পারে না। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন টোটালি ব্যান্ড একটি প্রতিষ্ঠান। এটা অবৈধ। এরা কেউ কশিশন বা কাউন্সিল লিখতে পারবে না। এ ব্যাপারে কোর্টের রায় রয়েছে। প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের কাছে এ রায়ের কপি পাঠানো আছে, যাতে কোনো এনজিও এ পরিচয় দিলে তাদের ধরা যায়। ’
জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মনবাধিকার কমিশনের সচিব নারায়ণ চন্দ্র সরকার, সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা, সদস্য ড. তানিয়া হক, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকাসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, সরকারি কর্মকর্তা ও মানবাধিকার জেলা কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
পরে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদীতে ফুল দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। এরপর সুরা ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের নিহত সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২২
এসআই