ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

গৃহকর্মী শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বারোপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
গৃহকর্মী শিশুদের অধিকার নিশ্চিতে সচেতনতা বাড়াতে গুরুত্বারোপ

ঢাকা: গৃহকাজে নিয়োজিত (গৃহকর্মী) শিশুদের অধিকার নিশ্চিত করতে সচেতনতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশিষ্টজনেরা।

রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্টের (এএসডি) পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তারা একথা বলেন।

তারা বলেন, জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টিতে শিক্ষার্থীরা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই সারাদেশের শিক্ষার্থীদের এ কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) এএসডি থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিশু সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক। এএসডির নির্বাহী পরিচালক এম এ করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংস্থা ‘আঁলিয়স ফ্রঁসেস’ ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোঁঞ্জ, ডেভেলপমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যাট হাই রিস্ক (ডিসিএইচআর) প্রকল্পের ব্যবস্থাপক ইউ কে এম ফারহানা সুলতানা, এএসডির কর্মসূচি পরিচালক মো. হামিদুর রহমান ও প্রজেক্ট অফিসার গুল-ই-জান্নাত জেনী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গৃহকাজে নিয়োজিত শিশুদের অধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের আরও সচেতন করে তুলতে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের রচনা লেখা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। ‘গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশু: আমার ভাবনা’ শীর্ষক ওই প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেরা ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে।

এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে শিশু সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, ব্যতিক্রমধর্মী এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আজকের শিশুরাই দেশের ভবিষ্যৎ। এ শিশুরা গৃহকর্মীদের বিষয়ে অত্যন্ত সচেতন। গৃহকর্মী শিশুদের নিয়ে শিশুরা যে রচনা লিখেছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। তাদের লেখায় এ বিষয়ে গভীর চিন্তাভাবনা ও বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ মিলেছে। এ ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।

 প্রসঙ্গত, এএসডি ১৯৮৮ সাল থেকে দেশের হতদরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এএসডি ২০১২ সাল থেকে ‘ডেভেলপমেন্ট অব চিলড্রেন অ্যাট হাই রিস্ক (ডিসিএইচআর)’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ থেকে প্রত্যাহার করে শিক্ষার মূলধারায় সম্পৃক্ত করা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বয়সভিত্তিক ঝুঁকিমুক্ত কাজে নিয়োগ দেওয়া, শিশুদের জন্য বিশ্রাম ও বিনোদন এবং রাতে আবাসনের ব্যবস্থাসহ শিশু উন্নয়নে নানাবিধ সেবা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২২
টিএ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।