ভোলা: ভোলার লালমোহনে নূরজাহান বেগম (২৬) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার শাশুড়ী রানু বেগমকে (৫৫) আটক করে পুলিশ।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলায় বদরপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রায়রাবাদ গ্রামের ইউনূছ খনকার বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নূরজাহান ওই বাড়ির কবিরের স্ত্রী। তার ৭ বছরের এক ছেলে রয়েছে। কবির ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন।
নিহত নূরজাহানের বাবার বাড়ি একই উপজেলার কালমা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের টগবী গ্রামে। তার পিতা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে স্বামী, শশুর, শাশুড়ীসহ ৬ জনে বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
লালমোহন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, গৃহবধূর সঙ্গে তার স্বামী কবিরের যৌতুকের টাকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। এ নিয়ে আদালতে মামলা ছিল। যার জন্য নূরজাহান বেশিরভাগ সময় বাবার বাড়িতেই থাকতো। এ ঘটনার কিছুদিন আগে আপোষের কথা বলে শশুর বাড়িতে নিয়ে আসে। তবে শনিবার সন্ধ্যায় টয়লেটে গিয়ে নূরজাহানের শাশুরি তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপর ডাক চিৎকার দিলে স্থানীয়রা এসে আমাদের খবর দেন। পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, নূরজাহানের বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলা রুজু হয়েছে।
মামলার অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়ি রানু বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে অনন্য আসামীরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এসএম