ঢাকা: ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলামসহ সাত সাংবাদিকের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সমাবেশ করেছেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় গুলশান থানা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে সাংবাদিক সমাজ অবস্থান নেবে বলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাস্টিস ফর জার্নালিস্ট, জয়বাংলা সাংবাদিক মঞ্চ ও বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।
জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জয়বাংলা সাংবাদিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর খান বাবুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন- বিএফইউজের কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজের সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, জাস্টিস ফর জার্নালিস্টের সভাপতি কামরুল ইসলাম, সাংবাদিক নেতা লায়েকুজ্জামান, ডিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার সম্পাদক রানা হামিদ, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, ডিইউজের আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফ আলী, সাংবাদিক নেতা গোলাম মোর্ত্তুজা ধ্রুব, সাব এডিটরস কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি শাহজাহান মিয়া, সাংবাদিক নেতা ওবায়দুল হক খান, শফিকুল ইসলাম, সালমান মাহমুদ, সাংবাদিক নেতা শাহজাহান সাজু, জুয়েল হালদার, আব্দুল মজিদ, বেলায়েত হোসেন, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় সাংবাদিক ফোরামের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শফিকুল ইসলাম।
সাংবাদিক নেতারা বলেন, সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে গুলশান থানায় মামলা করতে গেলেও আতিকুল ইসলামের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন থানার ওসি। তিনি মামলা গ্রহণ না করে উল্টো হুমকি-ধামকি দেন। পরে সাংবাদিক নেতাদের হস্তক্ষেপে মামলা গ্রহণ করলেও অদ্যাবধি আসামিদের গ্রেফতারে কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। উল্টো সাংবাদিকদের নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও পুলিশের ভূমিকা একটি গভীর ষড়যন্ত্র, যা সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টির একটি অপচেষ্টা। এ অপচেষ্টা রোধে সাংবাদিক নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঘটনার দিনই সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন বিবৃতি দেন। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও পুলিশ প্রশাসন তা আমলে না নেওয়ায় সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বিস্ময় প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, ডিইউজের কোষাধ্যক্ষসহ সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত ১২ ডিসেম্বর সন্ত্রাসী হামলার শিকার জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য আতিকুল ইসলাম ও তার গুরুতর অসুস্থ মাকে দেখতে গুলশানের নর্দা এলাকার বাসায় যান। সেখানেও সন্ত্রাসীরা সাংবাদিক নেতাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। বর্তমানে সাংবাদিক আতিকুল ইসলাম ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এসসি/এসআইএ