মুন্সীগঞ্জ: গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের বিরুদ্ধে পরাজিত প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই প্রার্থীসহ ৪জন আহত হয়েছেন।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জামালদী বেইলি ব্রিজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করা হয়।
আহতরা হলেন, পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব মিয়া (৩৪), তার ভাতিজা রিয়াদ (২৫), ইমন (১৮) ও গাড়ি চালক শুভ (২৬)। ঘটনার পর তারা সবাই গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। পরে তাদের মধ্যে দুজনকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব মিয়া বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাড়িতে করে ব্যক্তিগত কাজে ঢাকা যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই। এ সময় আমিসহ চারজন আরোহী ছিলাম। পথিমধ্যে দেখা যায় জয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর বড় ভাই টিটু হাজীর ছেলে তুরিনের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন আমাদের অনুসরণ করছেন। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সহায়তা চাই।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় আমাদের গাড়ি জামালদী বেইলি ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে মিঠুর সমর্থকরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের সবাইকে মারধর করে গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
ঘটনার ব্যাপারে জয়ী চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু বলেন, মাহবুব ও তার ভাই শাহপরানের নেতৃত্বে গত কয়েকদিন ধরে আমার বেশ কয়েকজন সমর্থকের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। এ সব কারণে এলাকাবাসী তাদের উপর ক্ষুব্ধ ছিল। উত্তেজিত জনতা তাদের অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী বলেন, এরকম একটি খবর পেয়েছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত ২ নভেম্বর গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। এতে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মনিরুল হক মিঠু জয় পান। হেরে যান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুব মিয়া। তিনি মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচন করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এমজে