ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

যমুনা নদীতে অল্পের জন্য প্রাণে বাচঁলেন ১১ যাত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
যমুনা নদীতে অল্পের জন্য প্রাণে বাচঁলেন ১১ যাত্রী

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর চৌহালী এনায়েতপুর নৌরুটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটলেও অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ১১ জন যাত্রী।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে এনায়েতপুর স্পার বাঁধ থেকে চৌহালী নৌরুটের মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।

চালকসহ অন্য যাত্রীরা দ্রুত সরে যাওয়ায় বড় ধরনের কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে মাঝি সাঁতরে নৌকায় উঠে।

এনায়েতপুর থানা যুবমহিলা লীগের সভাপতি আজমেরি খাতুন ও চৌহালীর ঘোড়জান চরের শিক্ষক শহিদুল ইসলামসহ একাধিক নৌকার যাত্রী জানান, স্পার বাঁধ ঘাট থেকে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে চৌহালী উপজেলা সদরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় সিকদারের নৌকা। ঘনকুয়াশার কারণে প্রায় এক ঘণ্টা ঘুরে আবার পূর্বের স্থানেই ফিরে আসে ইঞ্জিনচালিত এই শ্যালোবোট।  

পরে পুনরায় নৌকাটি ছেড়ে দেয়। এদিকে টাঙ্গাইলের সন্তোষা ঘাট থেকে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয় ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা ১১ যাত্রীবাহী নৌকাটি কুয়াশার মধ্যে নদীতে ঘুরতে থাকে।  

এক পর্যায়ে সিকদারের নৌকাটির সঙ্গে ওই নৌকার সংঘর্ষ হয়। ১১ যাত্রীবাহী ছোট নৌকার উপর দিয়ে উঠে যায় সিকদারের নৌকাটি।  

ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুস ছালাম বলেন, ঘনকুয়াশার কারণে দুর্ঘটনাকবলিত নৌকা আছড়ে পড়লেও সৌভাগ্যক্রমে সব যাত্রীই অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কুয়াশার সময় ঝুঁকি নেওয়া ঠিক না। আরও সতর্ক অবস্থায় নৌকা চলাচল না করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদ জানান, যমুনা নদীর এই গুরুত্বপূর্ন নৌ-রুটকে নিরাপদ ও শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশনা ও তদারকি অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া থানা ও নৌ পুলিশের নিয়মিত টহল দেয়া হচ্ছে।  

তবে কুয়াশার মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে নৌকা ভ্রমণকারী ও চালকদের আরও সচেতন হবার নির্দেশনা দেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।