হবিগঞ্জ: সিএনজিচালিত অটোরিকশার দখলে হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়ক। এসব অটোরিকশার কারণে এলাকাবাসীর চলাফেরা দুঃসহ হয়ে পড়েছে।
চালকরা রাস্তায় যেখানে-সেখানে অটোরিকশা থামিয়ে যাত্রী উঠানামা করেন। সড়কের উপরে অঘোষিত স্ট্যান্ড স্থাপন করে রেখেছেন তারা। এজন্য দিনভর যানজট লেগে থাকে ব্যস্ততম এ সড়কটিতে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্যস্ততম সড়কটিতে অটোরিকশার রাজত্ব। সড়কের পুরোটাই তাদের দখলে। সড়কটির হবিগঞ্জ শহরের অংশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্ট্যান্ড বসিয়ে চলছে তাদের রাজত্ব। শহরের মোতালেব চত্ত্বর থেকে রিচি ইউনিয়ন পরিষদের পরে আরও অনেক জায়গাজুড়ে সড়কের দুপাশে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় শ’য়ে শ’য়ে অটোরিকশা। এ সড়কে একই অবস্থা লাখাই উপজেলার বামৈ এবং বুল্লা বাজারেও।
এসব স্ট্যান্ড থেকে কিছু ব্যক্তির চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর ফলে সড়কের মূল ফটক দিয়ে গাড়ি নিয়ে ঢুকতে কিংবা চলাচল করতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। এমনকি এই অটোরিকশা অনেকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দিনভর শহরের প্রবেশপথে অটোরিকশা যানজট সৃষ্টি হয়ে থাকে।
স্থানীয়রা থানা ও উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করে বলেন, থানার ওসি ও ইউএনও ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়কের ওপর থেকে অবৈধ স্ট্যান্ড সরানোর উদ্যোগ নিচ্ছেন না। তারা বলেন, হবিগঞ্জ-লাখাইয়ের মানুষ আর পুরনো কথা বলতে চান না, তারা চান এর দ্রুত সমাধান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন শতশত গাড়ি চলাচল করে। হাজার হাজার মানুষ এ পথের যাত্রী। সিএনজি অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড ও এলোপাতাড়ি চলাচল এবং যাত্রী উঠানামার কারণে এসব মানুষের দুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গে। অথচ থানা ও পুলিশ প্রশাসন অবৈধ স্ট্যান্ড সড়ানোর জন্য কোন উদ্যোগই নিচ্ছেন না।
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরীফ উদ্দিন বলেন, সড়কের উপর সিএনজি অটেরিকশা দাঁড় করিয়ে রেখে চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি যেন না হয় সেজন্য প্রায়ই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এ ছাড়া অটোরিকশার স্থায়ী স্ট্যান্ড করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা খোঁজে বের করার প্রক্রিয়া চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
এসএ