ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফেসবুকে ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৭

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
ফেসবুকে ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রতারণা, গ্রেফতার ৭

খুলনা: বেকার তরুণ-তরুণীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতো অগ্নি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান। ফেসবুকে চটকদার ভুয়া বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে শতাধিক বেকারকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে খুলনার এই প্রতিষ্ঠান।

এমন অভিযোগে ওই প্রতিষ্ঠানের ৭জন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গ্রেফতাররা হলেন - অভয়নগরের সৈয়দ তানভীর আহম্মেদ (৩১), খুলনার দিঘলিয়ার মো. সাহাবুদ্দিন (৪০), ঝালকাঠি রাজাপুরের মো. সোহেল (২৮), মোল্লারহাট হাড়িদাহের মো. রেজাউল করিম (৩০), সাতক্ষীরা শ্যামনগর জাদরপুরের মো. জাহিনুর ইসলাম (২০), নগরীর বয়রার মো. জহিরুল ইসলাম (২০) ও ঝালকাঠির রাজাপুরের নাহিদ জাহান জুই (২৮)।

গ্রেফতার সবাই অগ্নি কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারী। প্রতিষ্ঠানটি খুলনার সোনাডাঙ্গা হাফিজনগর এলাকায় এনএইচ টাওয়ারের ৬ তলায় অবস্থিত।  

রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে র‌্যাব-৬ এর সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৬ খুলনার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সারোয়ার হোসেন।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তৎপরতা এবং বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৬ জানতে পারে, খুলনা মহানগরীতে একটি প্রতারকচক্র ফেসবুকে চাকরি দেওয়ার চটকদার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বেকার তরুণ- তরুণীকে ফাঁদে ফেলে। এরপর তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। র‌্যাব আরও জানতে পারে প্রতারক চক্রটি বেশ কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে তাদের অফিসে আটকে রেখে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করছে শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় অগ্নি লিমিটেডের অফিসে অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব-৬ খুলনার একটি আভিযানিক দল। অভিযানে প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। একইসঙ্গে ভুক্তভোগীদের উদ্ধার করা হয়।  

তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীদের দেওয়া তথ্যমতে এবং আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, চক্রটি তরুণ-তরুণীদের চাকরি দেওয়ার নাম করে তাদেরকে অফিসে ডেকে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাৎ করতো এবং তাদেরকে আরও তরুণ-তরুণীকে ফাঁদে ফেলানোর জন্য কাজ করতে বাধ্য করতো।  

র‌্যাব কমান্ডার বলেন, আসামিদের থেকে ১০টি মোবাইল ফোন, ৪টি ল্যাপটপ, ৪০টি ভর্তি ফরম, ৪৫টি অঙ্গীকারনামা, ১টি সিসি ক্যামেরার ডিভাইস, ৪টি রেজিস্ট্রার, ৫৪ হাজার ২১০ টাকা উদ্ধার ও জব্দ করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জব্দ করা আলামত ও আসামিদের খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়েরের কাজ প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
এমআরএম/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।