ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নরসিংদীতে রাতের আঁধারে কৃষকের ৫ গরু চুরি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
নরসিংদীতে রাতের আঁধারে কৃষকের ৫ গরু চুরি

নরসিংদী: নরসিংদীর মনোহরদীতে রাতের আঁধারে কৃষকের পাঁচটি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। যার বাজারমূল্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক জাকির হোসেন।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কাঁচিকাটা ইউনিয়নের দাইরাদী গ্রামের এক কৃষকের ৫টি গরু চুরি করে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

এই নিয়ে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ১২টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর গত দুই মাসের ব্যবধানে শুধু দাইরাদী গ্রাম থেকেই ১৪টি গরু চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা। একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় উদ্বিগ্ন কৃষকরা নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জাকির হোসেন বলেন, প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও ঘুমাতে যাওয়ার আগে গরুগুলোকে তিনি গোয়াল ঘরে বেঁধে রেখে যান। ভোরে ফযর নামাজের সময় গরুগুলোকে খেতে দিতে গেলে তিনি দেখেন গোয়ালঘরে কোন গরু নেই। এর পরেই তার ডাক চিৎকারে এলাকার লোকজন তার বাড়িতে আসে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও গরুগুলোর কোন খোঁজ পাননি।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমি এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি। আমার গরুগুলোই সম্ভল ছিল। ’

কৃষকরা জানায়, এর আগে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের তারাকান্দী গ্রামের কৃষক আলফাজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে একটি গরু চুরি হয়েছে। গত বুধবার রাতে উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের বাঘবের গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ খাঁনের চারটি গরু চুরি হয়। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লাখ টাকা। আর গত শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মুরাদ মিয়ার খামার থেকে ৩টি গরু চুরি করে নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকা।

একের পর এক কৃষকের গরু চুরির ঘটনায় আতঙ্ককে দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা। অনেকেই রাত জেঁগে গরু পাহাড়া দিচ্ছেন।

জানতে চাইলে কাঁচিকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন খাঁন কনক বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধ হওয়ায় দেশী গরু পালনে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে। এ কারণে শুধু হাল চাষের জন্য নয় ঈদকে সামনে রেখে অনেক কৃষক গরু পালন করছে। কিন্তু একের পর এক গরু চুরির ঘটনায় কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। আমরা প্রশাসনকে গরু চোর চক্রকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়েছি।

মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দীন বলেন, গরু চুরি হওয়ার বিষয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কৃষক থানায় কোন অভিযোগ করেনা। ফলে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। গরু চুরি রোধে স্থানীয়ভাবে পাহারার ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অপরাধীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২২
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।