ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি ২০২২ খসড়া অনুমোদন 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২৩
জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি ২০২২ খসড়া অনুমোদন  মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন

ঢাকা: কৃষিপণ্য বিপণন সহায়ক বাজারের তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালি করতে ‘জাতীয় কৃষি বিপণন নীতি- ২০২২’ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি।

সোমবার (০৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালে প্রাধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

 

সভা শেষে বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিক এ তথ্য জানান।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই নীতিমালা দ্বারা চেষ্টা করা হয়েছে মূলত বাংলাদেশের কৃষির যে উৎপাদন হয় এবং দেশে যে প্রচলিত বাজার ব্যবস্থা আছে সেটাকে আধুনিকিকরণের জন্য কিছু কৌশল বা নীতি গ্রহণ করা। সেখানে কৃষি পণ্য বিপণনকে বাজারমুখী করা যায় এবং উৎপাদনকারীকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা দেওয়া যায় এ ব্যপারে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় সে বিষয়গুলো এখানে আনা হয়েছে।  

কৃষি বিপণন নীতিমালায় কি কি সুবিধা থাকছে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, কৃষি ব্যবসায় বাঁচার সংযোগ বৃদ্ধি করা হবে, কৃষিপণ্য বিপণন সহায়ক বাজার তথ্য ব্যবস্থাপনাকে আরও শক্তিশালি করা হবে, কমিউনিটি ভিত্তিক, চুক্তি ভিত্তিক, গ্রুপ ভিত্তিক বিপণন জোড়দার করা হবে। কৃষি উপকরণ বিপণনকে সহজীকরণ করা হবে, আধুনিকায়ন করা হবে, কৃষিপণ্যের গুদাম ও সংরক্ষণাগার ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন, কৃষি বিপণন অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে যুব উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব হ্রাসের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ই- এগ্রিকারচার মার্কেটিং এ সহায়তা করা হবে। কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে নারী ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করা হবে।  

‘এছাড়া কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করে ডিজিটাল মার্কেট করা হবে। উন্নত গবেষণাগার, নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় করার জন্য সরবরাহ ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ করা হবে। নিরাপদ কৃষি পণ্য উৎপাদনে উৎসাহিত করা, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের আমদানি ও রফতানি ব্যবস্থায় সহায়তা করা হবে। ‘ যোগ করেন তিনি।  

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কৃষি পরিবহন সাপ্লাইচেইনের উন্নয়ন করা হবে। প্রক্রিয়াজাতকরণ কৃষি পণ্যের বিপণন সম্প্রসারণ করা হবে। কৃষিভিত্তিক ব্যবস্থা ও শিল্প উন্নয়নে সহায়তা করা হবে। কৃষি উন্নয়নে বিপণন ও গবেষণাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। কৃষি বিপণনে দক্ষ জনবল গঠন করা হবে। কৃষি পণ্যের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম নেওয়া হবে। এরকম মোট ১৯টি বিষয়ে নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২৩
জিসিজি/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।