ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়িঘর ভাঙচুর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ৩০, বাড়িঘর ভাঙচুর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে গায়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশার ধাক্কা লাগা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও অটোরিকশা ভাঙচুরের জেরে দুদল গ্রামবাসীর মধ্যে দু’দফা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। এসময় কয়েকটি বাড়ি-ঘর ও দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

 

শুক্রবার রাতে এবং শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের জারুর গোষ্ঠী (রাসেল চেয়ারম্যানের গোষ্ঠী) এবং বারঘরিয়ার (মিজান মেম্বারের গোষ্ঠী) লোকজনের মধ্যে দু‘দফা এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।  

খবর পেয়ে দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ২০ রাউন্ড টিয়ার শেল ও শর্টগানের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মুন্সি বাড়িতে ওয়াজ মাহফিল হয়। এতে রাস্তা প্রায় বন্ধ ও রাস্তার ওপর কিছু দোকানপাট বসে। এ রাস্তায় জারুর বাড়ির মো. কুতুব মিয়ার ছেলে মো. রুহুল আমিন অটোরিকশা নিয়ে যেতে চাইলে একজনের গায়ে লাগে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় রুহুল আমিনকে মারধর ও তার অটোরিকশার কাঁচ ভাঙচুর করে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন। রুহুল আমিন বাড়িতে এসে তার বাড়ির লোকজনকে ঘটনা জানালে তারা রাস্তায় দাঁড়িয়ে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর দুটি অটোরিকশা আটক করে।  

এদিকে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর অটোরিকশা ফেরত ও বিষয়টি সমাধানের জন্য দুর্গাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. রাসেল মিয়া তার পরিষদের সদস্য বারঘরিয়া গোষ্ঠীর মো. মিজান মিয়াকে বাড়িতে ডেকে আনেন। মিজান মেম্বার রাসেল চেয়ারম্যানের বাড়িতে এলে চেয়ারম্যানের সামনেই জারুর গোষ্ঠীর লোকজন তাকে পিটিয়ে আহত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বারঘরিয়া গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় দা-বল্লম নিয়ে জারুর গোষ্ঠীর লোকজনের ওপর হামলা করলে জারুর গোষ্ঠীর লোকজনও পাল্টা হামলা করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।  

কিন্তু শনিবার আবারও উভয় গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে দুর্গাপুর গ্রামের অন্যান্য গোষ্ঠীর লোকজনও জারু গোষ্ঠি ও বারঘরিয়ার গোষ্ঠির দলে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।  

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজাদ রহমান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।