ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সরকারকে সরাতে পাঠ্যপুস্তকের ওপর ভর করার অপচেষ্টা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
সরকারকে সরাতে পাঠ্যপুস্তকের ওপর ভর করার অপচেষ্টা চলছে: শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা: শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, কোনো ইস্যু না পেয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে সরাতে কেউ কেউ নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের ওপরে ভর করার চেষ্টা করছেন। পাঠ্যপুস্তক নিয়ে তারা যা বলছেন তা মিথ্যাচার, সেটি মেনে নেওয়া যায় না।

যেগুলো ভুল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তা সংশোধন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। বাকি বইগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত আছে। সবাই মতামত দেন। যেসব মতামত যৌক্তিক তা গ্রহণ করা হবে।  

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. ফরহাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, আমি সবার কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ  এবং আমি আনন্দিত এজন্য যে, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা বোর্ডসমূহের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পাশাপাশি দেশের সব মানুষ পাঠ্যবই পড়ছেন। যত গঠনমূলক সমালোচনা ও পরামর্শ রয়েছে আমাদের দিক, আমরা খোলা মনে সমস্ত পরামর্শ বিবেচনা করবো। যেখানে যৌক্তিক হবে, সেখানে পরিমার্জন, পরিশোধন, পরিশীলন করা হবে। এটি আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি।  

তিনি বলেন, কেউ কেউ বই না পড়ে, না দেখে কেউ একজন বলেছে তা শুনে অপরাজনৈতিক হিংসা, বিদ্বেষ নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছেন। তারা চায় যে এ সরকার না থাকুক। স্মার্ট বাংলাদেশ কি দরকার, তারা চায় পাকিস্তান। এরকম একটি গোষ্ঠী বলছে, নতুন বইয়ে ইসলাম নাই, যা আছে ওটা ইসলাম বিরোধী। আপনার আশপাশে ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড  (এনসিটিবি) এর  ওয়েবসাইটে বই আছে আপনি দেখে নিন। চিলে কান নিয়ে গেছে আপনি তার পিছে না ছুটে নিজে দেখুন।  

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের এবারের বইগুলো শিক্ষক, অভিভাবক-শিক্ষার্থী, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, মনোবিজ্ঞানির পরামর্শ নিয়ে করা হয়েছে। আমরা তো মানুষ। আমাদের ভুল হতে পারে। ৩৫ কোটি বই ছাপা হয়, এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। গত বছর বিদ্যুতের সমস্যা ও কাগজের সংকট ছিল। প্রকাশকদের নিয়েও নানান ধরনের সমস্যা সমাধান করতে হয়েছে। যেখানে ভুল থাকবে, যেখানে ধরা পড়বে আমরা তার সব যৌক্তিক ভুল সংশোধন করবো। কিন্তু যারা মিথ্যাচার করছেন তা মেনে নেওয়া হবে না। পশ্চিমবঙ্গের বাতিল করা একটি বইয়ের বর্ণপরিচয় থাকা একটি পৃষ্ঠার সঙ্গে আমার ছবি দিয়ে বলা হচ্ছে যে আমি পৌত্তলিকতা শিখাচ্ছি। সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে জীবনের হুমকি দেওয়া হলে সেটি সামাজিকতা নয়।  

তিনি বলেন, যেসব শিক্ষকরা সামান্য সম্মানির বিনিময়ে দিনের পর দিন কষ্ট করে বইগুলো সম্পাদনা করে তাদের যদি হুমকি দেওয়া হয়, তাদের আমি কী বলবো।  

তিনি আরও বলেন, কোনো মিথ্যাচার ও অপপ্রচার সহ্য করা হবে না। যা যৌক্তিক, সঠিক আমরা তা নিশ্চয় গ্রহণ করবো। কোনো কিছু ইস্যু না পেয়ে শেখ হাসিনা সরকারকে সরাতে নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের ওপরে ভর করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ তারা যা বলছেন তা মিথ্যাচার। যেসব ভুল এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে তা সংশোধন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে।  

নবম-দশম শ্রেণির বই নিয়ে বির্তক তোলা হচ্ছে তা ১০ বছর আগে তৈরি মন্তব্য করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটি গত ১০ বছর পরে ধরা পড়ছে। এটি দেশের একজন প্রখ্যত শিক্ষাবিদ সংশোধন করেছেন। তিন দফায় সেটি সংশোধন করা হলেও সেই ভুল রয়ে গেছে। সেটি এবার সংশোধন করে দেয়া হয়েছে।  

শিক্ষামন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমকে দায়িত্বশীল সংবাদ প্রচার করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২৩
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।