ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারের উজ্জল হোটেলের পাশে একটি ওষুধের দোকানের সামনে প্লাস্টিকের ড্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে রমনা মডেল থানায় এই মামলা করেছে, এতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল হাসান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। ওই মামলায় একাধিক অজ্ঞানামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
এই ঘটনার সঠিক রহস্য উদঘাটন করতে রমনা থানা পুলিশ কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) মগবাজারে বিষ্ফোরণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এটা কী ধরনের বিস্ফোরক ছিল, দেশি ককটেল নাকি অন্য কোনো বিস্ফোরক দ্রব্য তা জানার জন্য আমাদের বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে।
তিনি বলেন, প্লাস্টিকের ড্রামটি অসাবধানতাবশত ফেলে দেওয়ার কারণে এই বিস্ফোরণটি ঘটে। বিস্ফোরকটি কে বা কারা রেখেছিল বা কীভাবে এখানে এসেছে, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের বিষয়ে সিটিটিসি সন্দেহ বা ধারনা কী? জানতে চাইলে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে কোনো কিছু সন্দেহ করছি না। ধারণা করছি, কেউ হয়তো বিস্ফোরকটি রেখে গিয়েছিল। তবে মোটিভ জানতে পারলে আমরা এটা বের করতে পারব।
এই বিস্ফোরণের সঙ্গে কোনো জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এমন কোনো বিষয়ে সন্দেহ করছি না। তবে প্রাথমিকভাবে সব বিষয় সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।
এটি বড় ধরনের বিস্ফোরণই ছিল উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ও বিস্ফোরণের আঘাতের চিহ্ন দেখে আমরা ধারণা করতে পারছি এটি বড় ধরনের বিষ্ফোরণ ছিল।
এর আগে, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে দিকে মগবাজার এলাকায় একটি ওষুধের দোকানের সামনে ও উজ্জল হোটেলের পাশে প্লাস্টিকের ড্রামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় চারজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- সাইফুল ইসলাম (৩৬), মো. তারেক (২০), আবুল কালাম (২৫) ও মো. শাহীন (৩০)। বর্তমানে তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩
এসজেএ/এমএমজেড