ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন, ২ জনের মৃত্যু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন, ২ জনের মৃত্যু

যশোর: যশোরে অতিরিক্ত পরিমাণে নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অসুস্থ অপর তিনজনের মধ্যে দুইজনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনাটি গত বুধবারের (২৫ জানুয়ারি) হলেও পরিবারের সদস্যরা পাঁচজনকে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। পরে ইসলাম হোসেন নামে একজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে স্বজনরা বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) ভোরে তথ্য গোপন করে সিভিডি রোগী উল্লেখ করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বেলা ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

একইভাবে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে মৃত্যু হয় জাকির হোসেন (২৯) নামে আরেক যুবকের।

মৃত ইসলাম হোসেন যশোর সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে এবং মৃত জাকির হোসেন একই গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে। তাদের মৃত্যুর পরে স্বজনরা তড়িঘড়ি করে মৃত সনদ না নিয়েই হাসপাতাল থেকে মরদেহ দাফনের জন্য বাড়িতে নিয়ে যান।

এদিকে, যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অসুস্থরা হলেন- আবাদ কচুয়া গ্রামের আবু বক্কর মোল্লার ছেলে কাশেম ওরফে বাগানে কাশেম (৫৫), সিতারামপুর গ্রামের মনিরুদ্দীনের ছেলে বাবলু (২৮) এবং একই গ্রামের আনোয়ার মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন মোড়ল।

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মৃত ও অসুস্থরা গত ২৫ জানুয়ারি রাতে আবাদ কচুয়া থেকে হামিদপুর সড়কের মধ্যবর্তী স্থানে আরমান হোসেন কটার মেহগনি ও লিচু বাগানে পাঁচ জন মিলে নেশা জাতীয় দ্রব্য অ্যালকোহল বা ফেনসিডিল পান করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাদেরকে বাড়িতে গ্রাম্য চিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে গুঞ্জন উঠলে বিষয়টি ছড়িয়ে যায়। এদের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসলাম ও জাকিরের মৃত্যু হয়।  

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুর রশিদ জানান, স্বজনরা তথ্য গোপন করে রোগী ভর্তি করেছেন। তবে রোগীদের মুখের গন্ধ থেকে বোঝা যায় যে, অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের ফলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

যশোর কোতয়ালী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহিউদ্দিন বলেন, এলাকাবাসীর তথ্য মতে অসুস্থ ও মৃতরা অতিরিক্ত নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করেছিলেন। কিন্তু মৃত ও অসুস্থ রোগীর স্বজনরা তাদের রোগের ইতিহাস গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৭৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩
ইউজি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।