ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ৩৫তম জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু হবে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বরে হবে এ আয়োজন।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে ‘বাংলার স্বাধীনতা আমার কবিতা’ স্লোগানে জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে জাতীয় কবিতা পরিষদ।
জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি তারিক সুজাত লিখিত বক্তব্যে জানান, জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২৩-এর উদ্বোধন করবেন দেশের অন্যতম প্রধান কবি আসাদ চৌধুরী।
২০২০ সালে ৩৪তম জাতীয় কবিতা উৎসবে ঘোষিত জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০২১ কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা'র হাতে তুলে দেওয়া হবে উৎসবের দ্বিতীয় দিন, ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে ৫টায়। সেদিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় কবিতা পরিষদ পুরস্কার ২০২৩-এর নাম ঘোষণা করা হবে।
তারিক সুজাত আরও বলেন, বাংলাদেশের কবিরা চিরকালই প্রগতির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। বিগত ৩৪টি আয়োজনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও ভাষার সংগ্রামী কবিরা এ উৎসবে আমাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নির্যাতিত মানুষের মুক্তির কথা বলেছেন। এ উৎসবকে আমরা কবিতার মিলনমেলায় পরিণত করতে পেরেছি।
দুই দিনব্যাপী কবিতাপাঠ, নিবেদিত কবিতা, সেমিনার, আবৃত্তি ও সংগীতের মধ্য দিয়ে উৎসবে জমে ওঠবে। এ বছরের উৎসব স্লোগান ও উৎসব সংগীত রচনা করেছেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ। ঘোষণাপত্র লিখেছেন কবি কাজল বন্দ্যোপাধ্যায়।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি কবি মুহাম্মদ সামাদ বলেন, জাতীয় কবিতা উৎসব কবিতার বৃহত্তম এ ঐতিহ্যবাহী আয়োজন শুধু বাংলাদেশের নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এক অনন্য উৎসব- যা এরই মধ্যে সারা বিশ্বে বিশেষ মর্যাদা অর্জন করেছে। সূচনালগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটি উৎসবে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার কবিতানুরাগী ও শ্রোতার অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে এ উৎসব যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তার নজির পৃথিবীতে বিরল।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ৩৫তম কবিতা উৎসবের আহ্বায়ক শিহাব সরকার, পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কবি আসলাম সানী ও আমিনুর রহমান সুলতান।
স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে কবিতা উৎসবের শুরু ১৯৮৭ সালে, কালের পরিক্রমায় এই উৎসব সাড়ে তিন দশক অতিক্রম করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
ইএসএস/জেএইচ