ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আইসিসিবিতে চলছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
আইসিসিবিতে চলছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী

ঢাকা: রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে (আইসিসিবি) শুরু হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম ১১তম আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী-২০২৩।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীর শুরু হয়।

যা চলবে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত।

প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী উপভোগ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিকে আরও উন্নত করতে যৌথভাবে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ) ও লিমরা ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড এক্সিবিশনস লিমিটেড।  

প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইতালি, ভিয়েতনাম, জার্মানি, তাইওয়ান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, তুরস্ক, কানাডা, সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার চার শতাধিক কোম্পানি তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করছেন।

এসব কোম্পানির স্টলে রাইস মিল, ফিড মিল, ওয়েল মিল, ফ্লাওয়ার মিল মেশিনারিজ, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকিং, এগ্রি মেশিনারি, পাওয়ার টিলার, ড্রায়ার, কুলার, চিলার এবং সাইলো সংক্রান্ত প্রযুক্তি প্রদর্শিত হচ্ছে।

আয়োজকরা জানান, প্রদর্শিত এসব কৃষি যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি দেশের কৃষক সমাজকে আধুনিকীকরণ এবং যান্ত্রিকীকরণে উৎসাহিত করবে। প্রদর্শনীর মাধ্যমে কৃষি ও কৃষি প্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট গবেষক, প্রস্তুতকারক, আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান, প্রযুক্তি ব্যবহারকারী ও দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ ঘটবে।  
পাশাপাশি দেশি-বিদেশি সরবরাহকারী, ব্যবহারকারী, গবেষক এবং প্রস্তুতকারকদের মধ্যে পারস্পরিক তথ্য এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুযোগ সৃষ্টির হবে। যা দেশের কৃষি প্রযুক্তি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সকালে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিতা কেটে প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) খলিল আহমদ।  

অনুষ্ঠানে 'বাংলাদেশে টেকসই কৃষি যান্ত্রিকীকরণ: চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগ' শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মো. মঞ্জুরুল আলম।

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ও আন্তর্জাতিক কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শনী-২০২৩ এর আহ্বায়ক মো. ফেরদৌস হোসেন খান, লিমরা ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড এক্সিবিশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শুধু অভ্যন্তরীণ সম্পদের ওপর ভিত্তি করলে চলবে না। আমাদের কৃষি, শিল্প, পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন ও তৈরি করে রপ্তানি করতে হবে। এর জন্য আমাদের প্রযুক্তিগত উন্নতি করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী উন্নত বাংলাদেশ গড়ার। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে আজকে বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছেন। ২০৪১ সালে আমরা সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবো। আমরা যখন উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার যাত্রা শুরু করেছিলাম, তখন আমাদের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭০০ ডলার। আজকে যা ২ হাজার ৮২৪ ডলারে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উন্নতির পিছনে প্রথম এবং সবচেয়ে বেশি অবদান কৃষি খাতের। কারণ আমরা কৃষি নির্ভর দেশে।

আয়োজক সংস্থা লিমরা ট্রেড ফেয়ার অ্যান্ড এক্সিবিশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান কাজী ছারোয়ার উদ্দিন বলেন, প্রতিনিয়ত কৃষি খাতের উন্নতির জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন হচ্ছে। সেগুলোর ব্যবহার সম্পর্কে দেশের মানুষকে জানাতে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। যাতে তারা এসব প্রযুক্তি ব্যবহার ও পরামর্শ নিয়ে দেশের কৃষি খাতকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারে। এছাড়া কীভবে প্রযুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন খামার গড়ে নিজের আত্মউন্নয়ন ঘটানো যায়, সেই সম্পর্কে প্রদর্শনীতে ধারণা পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩
এসসি/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।