ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হিরো আলমকে অভিনন্দন তথ্যমন্ত্রীর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩
হিরো আলমকে অভিনন্দন তথ্যমন্ত্রীর

ঢাকা: বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ আসনের উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গেলেও বিপুলসংখ্যক ভোট পাওয়ায় আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিননাদন জানান।

বগুড়ার নির্বাচন বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমি হিরো আলমকে অভিনন্দন জানাই। কারণ সে অনেক ভোট পেয়েছে। তাকে এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব তো অনেক কিছু বলেন। তাই সে কী বললো না বললো তাতে কিছু আসে যায় না। তবে আমি হিরো আলমকে অভিনন্দন জানাই।

জাপান সরকারে কাছে বিএনপির পাঠানো চিঠি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথমত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব এ সমস্ত চিঠির কথা অস্বীকার করেছেন। পরে আবার স্বীকারও করেছেন। এ ধরনের চিঠি বিদেশি রাষ্ট্রের কাছে লেখা জাতি ও দেশের জন্য শুধু অমঙ্গলজনক নয়, এটি দেশদ্রোহিতার সামিল। এ ধরনের কন্টেন্টে মিথ্যাচার করা হয়েছে যে, জিয়াউর রহমান গণতন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছেন। অথচ জিয়াউর রহমান বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। তাহলে বিএনপির গণতন্ত্র মানে বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করা। মির্জা ফখরুল সাহেবের চিঠির ভাষায় জিয়াউর রহমান গণতান্ত্রিকবাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাহলে বন্দুক উঁচিয়ে ক্ষমতা দখল করা গণতন্ত্র কিনা সেটিই আমার প্রশ্ন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে যে এক-এগারো সরকার এসেছিল সেটা বিএনপির দুঃশাসনের কারণেই এসেছিল। ২০১৪ সালে চেষ্টা করেছিল সংসদীয় নির্বাচন বন্ধ করে দেশে আবারও অগণতান্ত্রিক কোনো কিছু করার জন্য। ২০১৮ সালেও তাদের সে চেষ্টা অব্যাহত ছিল। বিএনপি জানে আগামী নির্বাচনে তাদের কোনো সম্ভাবনা নেই। একটু ক্ষতিয়ে দেখলে বোঝা যায় জনগণের কাছে তাদের অবস্থান কোথায়। ২০০৮ সালের নির্বাচন একটি বিশ্ব স্বীকৃত নির্বাচন। তখন নির্বাচনে তারা আসন পেয়েছিল ২৯টি। ২০১৮ সালে ডান, বাম, অতিবাম, অতিডান তালেবান—সবার সাথে ঐক্য করে আসন পেয়েছিল ৬টি। আগামী নির্বাচনেও যে তাদের সম্ভাবনা নাই সেটি সহজে অনুমেয়। সে কারণে তারা চায় অগণতান্ত্রিক কোনো কিছু।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২৩
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।