ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

গাম্বিয়ার সঙ্গে যৌথ সেনা মোতায়েনে সম্মত বাংলাদেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
গাম্বিয়ার সঙ্গে যৌথ সেনা মোতায়েনে সম্মত বাংলাদেশ

ঢাকা: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দুই দেশের সৈন্য মোতায়েন বিষয়ে গাম্বিয়ার প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ।

বৃহস্পতিবার (ফেব্রুয়ারি ০৯) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে সফররত গাম্বিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মামাদু তাঙ্গারা এ বিষয়ে গাম্বিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রস্তাবের একটি অনুরোধপত্র হস্তান্তর করেন।

এতে প্রধানমন্ত্রী নীতিগতভাবে সম্মতি দেন।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা-লেখক মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

গাম্বিয়া জাতিসংঘের উপযুক্ত শান্তিরক্ষী মিশনে যৌথভাবে বাংলাদেশ ও গাম্বিয়ার সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব দেয়।

প্রস্তাবে নীতিগত সম্মত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অনুমোদন সাপেক্ষে শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য মোতায়েনের প্রস্তাব বাস্তবায়নে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সর্বোচ্চ সৈন্য প্রেরণকারী দেশ বলেও বৈঠকে উল্লেখ করেন।

সফররত গাম্বিয়ার মন্ত্রী বিশ্ব শান্তি বজায় রাখতে এবং কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী পারস্পরিক স্বার্থে গাম্বিয়ার বিস্তীর্ণ জমিতে যৌথভাবে চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশি জনশক্তি ও প্রযুক্তি সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, তাঁর সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ এবং গবেষণার ফলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ দেশে পরিণত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষিজমি হ্রাসের প্রবণতা সত্ত্বেও গবেষণা বাংলাদেশকে খাদ্য উৎপাদনে আত্মনির্ভরশীল দেশে পরিণত করতে সহায়তা করেছে।

শেখ হাসিনা তাঁর সরকারের নীতি উল্লেখ করে বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না এবং জনগণ এর প্রতি সাড়া দিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য গাম্বিয়ান সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পর তাদের মর্যাদাপূর্ণ জীবন দেওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছে।

সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাম্বিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সেরিং মোদুউ এনজিইস, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৩
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।