ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন সেই শাকিলের বাবা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন সেই শাকিলের বাবা শাকিল

ঢাকা: শোকসভার প্রোগ্রামে যাওয়ার পথে ইজিবাইক উল্টে মেরুদণ্ড ভেঙে যায় ঝালকাঠির স্কুলছাত্র শাকিলের। এক হাসাপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটে সঞ্চয়ের সব অর্থ খরচ করেছেন বাবা লুৎফুর।

চারদিকে অন্ধকার দেখায় একমাত্র ছেলের চিকিৎসার খরচের জন্য আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। অসহায় বাবার অবস্থা অনুধাবন করে প্রধানমন্ত্রী শাকিলের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ১৮ আগস্ট ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানার এক নম্বর চেচরীরামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে শোকসভার আয়োজন করে। সেখানে যাওয়ার পথে ইজিবাইক উল্টে মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত পান বানাই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র শাকিল। সেসময় ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কোমড় থেকে পায়ের তালু পর্যন্ত সেন্স না থাকায় নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে থেরাপি। চিকিৎসার জন্য আরো অর্থের প্রয়োজন হলে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে সাহায্যের জন্য আবেদন করেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি চেক হাতে পান।  

শাকিলের বাবা লুৎফুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দুর্ঘটনায় আমার ছেলের পা দুটো থেঁতলে যায় আর মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। চিকিৎসা করাতে গিয়ে আমার ৭-৮ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ হয়ে গেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য না পেলে আমার ছেলের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যেতো। তিনি আমার মায়ের মতো উপকার করছেন। আমার একটা মাত্র ছেলে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিরঋণী। আমার একটাই চাওয়া ছেলে সুস্থ হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। সামনাসামনি কথা বলতে পারলে আমার আর কোনো দুঃখ থাকবে না। আর আমার ভাতিজা সিফাতুল ইসলাম সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনসহ সব কাজ করে দেওয়ায় তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই।

শাকিলের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলের এখনো থেরাপি চলে। শরীরের নিচের অংশে কোনো অনুভূতি নেই। চিকিৎসকরা বলছেন গরমে পড়লে আর থেরাপি শেষ হলে অনুভূতি আসতে পারে। আমি আমার ছেলের সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্যও দোয়া চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।