ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র এবং ভাষা শহীদ আবুল বরকত স্মৃতি জাদুঘর ও সংগ্রহশালার যৌথ উদ্যোগে ‘ভাষা আন্দোলনের ৭৫ বছর (১৯৪৮-২০২৩)’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ সেমিনার উদ্বোধন করেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও ঢাবি ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারের উদ্বোধনী পর্বে উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান ‘ভাষা আন্দোলন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিকাশ’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ভাষাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শাহরিয়ার রহমান।
প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানে শোষণ, নিপীড়ন ও বঞ্চনার ইতিহাস তৈরি হয়, যার প্রথম আঘাত আসে ভাষার ওপর। ভাষা আন্দোলনে কৃষক-শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের যুক্ত হওয়ার কারণ ছিল বস্তুগত। যা খুব সহজভাবে প্রবন্ধকার অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান উপস্থাপন করেছেন।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, ভাষা আন্দোলনে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে প্রথম গ্রেফতার হন বঙ্গবন্ধু। গ্রেফতার হয়েও জেলে বসে তিনি ভাষা আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দেন। বাংলা ভাষা রক্ষার্থে সংগ্রাম করতে ছাত্রনেতাদের উদ্বুদ্ধ ও সংগঠিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। বস্তুনিষ্ঠ বই পড়ার মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা ও প্রকৃত ইতিহাস জানার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রতি তিনি উদাত্ত আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান মূল প্রবন্ধে বলেন, পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে শাসক গোষ্ঠীর অপরাজনীতি, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন এবং গণবিরোধী প্রশাসন তৈরি হয়। ফলশ্রুতিতে বাঙালি মধ্যবিত্তের আশা ভঙ্গ হয়, যা পরে গণআন্দোলনে রূপ নেয়। এভাবেই ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট তৈরি হয়।
দিনব্যাপী সেমিনারের তিনটি অধিবেশনে মোট ১৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
এসকেবি/আরবি