মেহেরপুর: গরু বিক্রির টাকা না পেয়ে বাবা আফেল উদ্দীনকে (৬৫) প্রকাশ্যে দিবালোকে ধারালো হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে ছেলে সুজন আলী (২২)।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে নিজ বাড়ির উঠানে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত আফেল উদ্দীন গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের কালিতলাপাড়া এলাকার মৃত ইয়াদ আলী মন্ডলের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে আফেল উদ্দীন একটি গরু বিক্রি করেন। আজ (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘাতক সুজন আলী বাবার কাছে গরু বিক্রির টাকা চায়। কিন্তু আফেল উদ্দীন ছেলেকে টাকা না দিয়ে স্ত্রী তহমিনাকে বকাবকি শুরু করেন। মায়ের ওপর বকাবকি করতে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে সুজন তার বাবা আফেল উদ্দীনকে হাসুয়া (দেশীয় অস্ত্র) দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মহিবুল ইসলাম বলেন, সুজন আলী ভালো ছাত্র ছিলেন। এসএসসি পাস করার পর কাজীপুর ডিগ্রী কলেজে ভর্তি হন। পরে স্থানীয় এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেন। তার বেপরোয়া চলাফেরা দেখে স্ত্রী তাকে তালাক দিয়ে চলে যান। এরপর থেকে তিনি অনেকটাই মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তাকে বেশ কিছুদিন পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে রাখেন পরিবারের লোকজন।
প্রথমদিকে মায়ের আদরেই তিনি বেপরোয়া জীবন যাপন এবং ধুমপান করতেন বলেও জানান স্থানীয়রা।
জানা গেছে, বাবার সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরে কয়েক বছর আগেও একবার বাবাকে কুপিয়ে জখম করে। সে যাত্রায় আফেল উদ্দিন বেঁচে গেলেও এবার ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি।
এদিকে খবর পেয়ে গাংনী থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা মনোজিৎ কুমার নন্দীর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল প্রতিবেদন ও মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক সুজনকে গ্রেফতার করতে পুলিশি অভিযান তৎপর রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
এনএস