ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বালু ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৬, আটক ৯

  ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
বালু ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে আহত ৬, আটক ৯

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে অবৈধ বালু ব্যবসায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বেতিল বাজার এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও মহেশপুর গ্রামের লাল মিয়া ও সোহানকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাসখানেক ধরে বেলকুচি উপজেলার বড়ধুল ইউনিয়নের বেলির চরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন মান্নান ফকির গ্রুপের লোকজন। ওই বালু মহালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে লাল মিয়া মেম্বরের সঙ্গে মান্নান ফকির গ্রুপের পিচ্চি হাফিজের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে পিচ্চি হাফিজের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। প্রতিরোধ করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে লাল চান ও সোহানসহ ছয়জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং উভপক্ষের ৯ জনকে আটক করে।  

ইউপি সদস্য লাল মিয়া বলেন, বালুর ব্যবসা নিয়ে পিচ্চি হাফিজের সঙ্গে প্রথমে তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে মান্নান ফকিরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে এসে হামলা করে।  

অপরদিকে মান্নান ফকির বলেন, সংঘর্ষের কোনো ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি অকশনে বালু কিনে সেগুলো বিক্রি করছি। শুনেছি বেতিল বাজারে লাল মিয়া আমাকে গালিগালাজ করেছে। এ সময় কতিপয় কিছু ভ্যানচালকরা প্রতিবাদ করেছে।  

এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিছুর রহমান জানান, বেতিল বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুই গ্রুপের ৯ জনকে আটক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।