ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

আর্জেন্টিনার ডাক পেলেন ফেনীর সেই মতিন 

সোলায়মান হাজারী ডালিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
আর্জেন্টিনার ডাক পেলেন ফেনীর সেই মতিন 

ফেনী: ঢাকায় আর্জেন্টিনা সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ডাক পেলেন ফেনীর আর্জেন্টিনা ভক্ত আবদুল মতিন।

আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো আন্দ্রেস ক্যাফিয়েরো সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন।

ঢাকা সফরকালে তিনি আর্জেন্টাইন দূতাবাস খোলার ঘোষণা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছেন আবদুল মতিন।  

মতিন জানান, তার সঙ্গে ইমেইলে যোগাযোগ করেছে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। অনুষ্ঠানে যোগদান করার জন্য ইতোমধ্যে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন তিনি।

মতিনের আর্জেন্টিনা প্রীতির খবর গেলো কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রকাশ হয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজে। এরপর প্রকাশ হয় জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফল শ্রুতিতে মতিনের বিষয়ে জানতে পারে আর্জেন্টিনার সরকার। তাকে নিয়ে লেখা হয় সেদেশের গণমাধ্যমেও। অবশেষে আর্জেন্টিনা সরকারের অনুষ্ঠানিক নিমন্ত্রণ পেলো মতিন।  

মতিনের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞাঁ উপজেলা সিন্দুরপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে। প্রিয় দল আর্জেন্টিনার পতাকা উড়াতে গিয়ে চিরতরে হারিয়েছেন নিজের চার হাত-পা। পরিশ্রমী, কর্মঠ মতিনের ছিলো সাজানো গোছানো ব্যবসা। সুস্থ-সুন্দর শারীরিক গঠনাকৃতির মতিনের এখন কিছুই নেই। বেঁচে আছেন আত্মীয় ও প্রতিবেশীদের সাহায্য সহযোগীতায়।

এত কিছুর পরেও কমেনি ফুটবলের প্রতি তার আগ্রহ। খামতি হয়নি টিম আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসারও। তবে তার অনুরোধ, ফুটবল উন্মাদনায় এমন কিছু যেন না হয়, যার রেশ টানতে হবে সারা জীবন।

মতিন বলেন, ২০১৪ সালের মার্চ মাসের ২৮ তারিখ। বিশ্বকাপ ফুটবল খেলা শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগের ঘটনা। লক্ষ্মীপুর শহরের আজিম শাহ মার্কেটের তিন তলা ছাদের উপরে এলমুনিয়াম রডের মাধ্যমে পতাকা টানাচ্ছিলাম। হঠাৎ বিদ্যুতের প্রধান সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে লেগে যায় এলমুনিয়ামের রডটি। মূহুর্তেই ছিটকে পড়ি একটি দেয়ালের উপর। আর হুশ ছিলো না।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ব্যবসায়ীরা উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে। আইসিইউতে রাখা হয়েছিলো ২৭ দিন। সাড়ে তিন মাস চিকিৎসা চলছে। ইনফেকশান হয়ে যাওয়ায় হাত-পা গুলোকে রক্ষা করা যায়নি কেটে ফেলে দিতে হয়েছে। পুরো চিকিৎসা ব্যয় বহন করতে ৭-৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ব্যবসা, দোকান সব শেষ হয়েছে। সব হারিয়ে একদম শূন্য।  

>>আরও পড়ুন: গ্যালারিতে মেসিদের খেলা দেখার স্বপ্ন হাত-পা হারানো মতিনের

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩
এসএইচডি/এসএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।