ঢাকা: মাতারবাড়ী অবকাঠামোকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলে আরও উন্নয়নে বাংলাদেশের অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন।
২৮ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র সচিব রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশনের (এফওসি) অংশ হিসেবে টোকিওতে জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী শিগেও ইয়ামাদার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়াবলী নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় এ আগ্রহের কথা জানায় জাপান।
এ সময় জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সেহেলী সাবরীন বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান তাদের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে এবং কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। মাতারবাড়ী অবকাঠামোকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের দক্ষিণ অঞ্চলে আরও উন্নয়নে বাংলাদেশের অংশীদার হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে জাপান। মাতারবাড়ী অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনা যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা যোগ করবে। উভয়পক্ষই সম্মত হয়েছে যে, জাপানের বিগ-বি উদ্যোগে নির্মিত এই প্রকল্পগুলি শুধু বাংলাদেশ নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল উপকৃত হবে।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি আইসিটি এবং উচ্চ প্রযুক্তির শিল্প, সুনীল অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ উন্নয়ন, সামুদ্রিক নিরাপত্তা সক্ষমতা বৃদ্ধি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পে জাপানের সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্পগুলো- মাতারবাড়ী, মেট্রোরেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল।
জাপানের উর্ধ্বতন উপমন্ত্রী কোভিড-১৯ মহামারি এবং বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও বাংলাদেশের ধারাবাহিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
করোনাকালীন বাংলাদেশের জন্য জাপান সরকার কর্তৃক কোভিড ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা এবং আগামী কয়েক বছরের জন্য সরাসরি বাজেট সহায়তার অঙ্গীকারের জন্য পররাষ্ট্র সচিব কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জাপানের জ্যেষ্ঠ উপমন্ত্রী শিগেওয়ের বরাতে বলা হয়, বাংলাদেশে যোগাযোগ সংক্রান্ত সব উন্নয়ন প্রকল্পে জাপান সহায়তা অব্যাহত রাখবে। আড়াইহাজারে বাংলাদেশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন ও মেট্রো রেলের প্রথম ধাপের উদ্বোধনে উভয়পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ আশা ব্যক্ত করে যে, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি জাপান থেকে আরও বেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে।
জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও উন্নীতকরণের বিষয়ে আগ্রহী এবং এ ক্ষেত্রে জাপানি বিনিয়োগকারীদের সহায়তা করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২৩
এসকেবি/এএটি