বাগেরহাট: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যানের মরধরের ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সরেজমিনে তদন্ত শেষ করেছেন জেলা প্রশাসন। শুক্রবার (৩ মার্চ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভুক্তভোগী-অভিযুক্তের সাক্ষ্য নেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম।
শুক্রবার সকাল ১০টায় ফকিরহাট বিশ্বরোড সংলগ্ন এলএসডি গোডাউন (কাঠালতলা) সংলগ্ন ঘটনাস্থলে যান তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম। এসময় তিনি ভুক্তভোগী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমানের সাক্ষ্য নেন। পাশাপাশি প্রত্যক্ষদর্শী মোল্লা হাবিবুর রহমান ও জাহিদুল ইসলামেরও স্বাক্ষ্য সাক্ষ্য নেন। পরে শেখ মিজানুর রহমানের বাস ভবনে যান তিনি। সেখানে মিজানুর রহমান ও তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
এরপর ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে ইউএনও মো. মনোয়ার হোসেন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন কুমার দাসের স্বাক্ষ্য সাক্ষ্য নেন তিনি।
ভুক্তভোগী শেখ মিজানুর রহমান বলেন, ইউএনওর বিরুদ্ধে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আশাকরি আমি ন্যায় বিচার পাব।
তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, অভিযুক্ত এবং অভিযোগকারী উভয়ের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আশাকরি দুয়েক দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে পারব।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে খুলনা-মাওয়া মহাসড়কের কাঁঠালতলা এলাকায় ইউএনওর গাড়ির সঙ্গে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মিজানুর রহমানের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় গাড়ি থেকে নেমে ভাইস চেয়ারম্যানকে থাপ্পড় মারেন ইউএনও। পরে তাকে গালিগালাজ ও জোর করে গাড়ির পেছনে উঠিয়ে বেশ কিছুক্ষণ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরিয়ে ছেড়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হয়ে উপজেলাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। ইউএনওর উপযুক্ত বিচার দাবি করেন তারা। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ভুক্তভোগীর বক্তব্যে উঠে আসে ইউএনওর নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০২৩
এমএমজেড