ঢাকা, শনিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩৭ বছর আগে হারানো বন্ধুকে খুঁজতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
৩৭ বছর আগে হারানো বন্ধুকে খুঁজতে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন

ফরিদপুর: ‘সাক্ষাৎ চাই’ শিরোনামে দেশের একটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন দিয়েছেন সুদূর জার্মানি থেকে দেশে আসা মহিরুদ্দিন নামে এক প্রবাসী।  

৩৭ বছর আগে জার্মানিতে বন্ধুকে হারিয়েছিলেন তিনি।

বন্ধুকে দেখার আকুলতার কথা ফুঁটে উঠেছে তার সেই বিজ্ঞাপনে।

ওই বিজ্ঞাপনে লেখা হয়েছে, ‘আমি মহিরুদ্দিন ১৯৮৬/৮৭ সালে জার্মানির ডর্টমাউন্ড শহরে অবস্থানকালে হারুনুর রশিদ/শেখ রশিদ নামে একজন সেখানে ছিল। যথাসম্ভব তার বাড়ি ফরিদপুর জেলার মধুখালী। ওই সময়ের পর থেকে অনেক চেষ্টা করেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। তোমাকে দেখার খুব ইচ্ছে। তাই ফোন নম্বর- ০১৭৩৪৩০৬৭৮৬ তে যোগাযোগ করলে বা কেহ সন্ধান দিলে খুব খুশি হব। সাক্ষাৎপ্রার্থী মহিরুদ্দিন। ’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৬ বা ১৯৮৭ সালে প্রায় ৩৭ বছর আগে জার্মানির ডর্টমাউন্ড শহরে হারুনর রশীদ/রশিদ শেখ নামে এক বাংলাদেশির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় মহিরুদ্দিনের। সম্প্রতি দেশে এসে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

শুক্রবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গণমাধ্যমকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জার্মানি প্রবাসী মহিরুদ্দিন।  

তিনি বলেন, ১৯৮৬ বা ১৯৮৭ সালের দিকে যখন হারুনুর রশিদ বা শেখ রশিদের সঙ্গে আমার পরিচয় হয় তখন আমরা ২৫ বছরের যুবক। বর্তমানে আমার বয়স ৬২। আমরা বেশ ভালো বন্ধু ছিলাম। দীর্ঘ বছর খোঁজ নেই বন্ধুর। ঢাকায় এসেছি সম্প্রতি। আরও প্রায় মাস খানেক থাকব। পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হলে ভালো লাগবে। তবে তার কোনো ছবি আমার কাছে নেই।

এ বিষয়ে মধুখালী পৌরসভার মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান লিমন বলেন, আসলে এভাবে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ছবি অথবা বাবার নাম থাকলে খুঁজে পেতে সহজ হতো। তারপরও পৌরসভার কেউ জার্মানিতে থাকে কিনা বা ছিল কিনা খোঁজ খবর নিয়ে ওই নাম্বারে জানানোর চেষ্টা করব।

মধুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল হক বকু বলেন, বন্ধু প্রতি বন্ধুর ভালোবাসা দেখে বেশ ভালো লাগছে। মধুখালীর কেউ জার্মানিতে থাকে বা ছিল এরকম কোন খোঁজ জানা নেই। তারপরও বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নেব আমরা।  

এ বিষয়ে মধুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, বিজ্ঞাপনে বলা ব্যক্তির সন্ধান জানা নেই। অন্যান্য দেশে থাকে এমন লোক অনেকই আছে। তারপরও বিভিন্ন স্থানে বিষয়টি নিয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দুই বন্ধুর জন্য সহযোগিতার চেষ্টা করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৩
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।