বরগুনা: বরগুনায় একটি কাঁচা সড়কে মাটির কাজ না করিয়ে অন্তত ১৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, ওই সড়কে গত ১০ বছরে কোনো ধরনের মাটির কাজ হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) জলবায়ু সহনশীল গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্পের (সিআরআরআইপি) আওতায় ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে, বরগুনার তালতলী উপজেলার ‘কড়ইবাড়ীয়া বাজার (বাঁধ) উত্তর ঝাড়াখালী জিপিএস ভায়া স্ব-মিল পর্যন্ত’ রাস্তার জিরো থেকে দেড় হাজার মিটার মাটি দিয়ে উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৩ লাখ ২ হাজার ৭১২ টাকা বরাদ্দ হয়। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সমন্বয়ে চুক্তিবদ্ধ শ্রমিক দলের মাধ্যমে কাগজে-কলমে এ কাজ বাস্তবায়ন করেছে তালতলী উপজেলা এলজিইডি।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য ইসহাক মাঝী এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগে বলেন, উত্তর ঝাড়াখালী চেইনেজ জিপিএসের শুরু থেকে দেড় হাজার মিটার মাটির কাজ করার কথা থাকলেও না করে সম্পুর্ণ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। উক্ত টাকা আত্মসাতের সঙ্গে একই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. জালাল গাজীর জড়িত থাকার অভিযোগ তার।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. ফয়সাল, আনোয়ার হোসেন খান, জব্বার ঘরামী, সুলতান মাদবরসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, স্কিমকৃত সড়কে গত ১০ বছরে কোনো ধরনের মাটির কাজ করা হয়নি। তাই এ ব্যাপারে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য মো. জালাল গাজীর দাবি, স্কিমকৃত সড়কের স্ব-মিল থেকে শুরু করে মাটির কাজ করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু জায়গায় নির্ধারিত ১৬ ফুট প্রশস্তের স্থলে কম করা হয়েছে, সেগুলো এখন করে দেওয়া হবে। তাকে হয়রানি করার জন্য এ অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি জালাল গাজীর।
সংশ্লিষ্ট কড়ইবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহীম সিকদার পনু বলেন, আমি ওই অর্থ বছরের (২০২১-২০২২) পর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। তাই বিষয়ে কিছুই জানি না। তবে এ বিষয়ে বাস্তবায়নকারী দপ্তর এলজিইডি সবকিছু বলতে পারবে বলে জানান চেয়ারম্যান।
তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ হোসাইন রাসেল বলেন, সড়কে কাজ হয়নি এমন অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের সদস্য একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
এসআইএস