ঢাকা: রাজধানীর সিদ্দিক বাজারে ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডের পাশের ফুটপাতের চা বিক্রেতা সোহরাব হোসেন সৌরভ। বিকেলে দোকানে বেচাকেনা করছিলেন।
দোকান ছেড়ে প্রায় একশ গজ দূরত্বের ওই ভবনের সামনে গিয়ে দেখেন রাস্তায় যানজটে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের জানালার কাচ ভেঙে অনেকে আহত হয়েছেন।
সৌরভ বলেন, ‘মনে হয়েছে বোমা ফুটছে। মসজিদে সেই সময় আছরের জামাত শুরু হয়েছে। দৌড় দিয়ে গিয়ে দেখি ধোঁয়া। কেউ বলে গ্যাস বিস্ফোরণ, কেউ বলে সিলিন্ডার।
বাসের ভেতরের কারো হাত নেই, কারো কান নেই। সবার শরীরে রক্ত। মনে হয়েছে গরু জবাই করেছে। আমি নিজে দুজনকে রিকশায় তুলে দেই। তারা হাসপাতালে গেছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমে ভবনে বিস্ফোরণ হয়, তারপরে ট্রান্সমিটার বিস্ফোরণ হয়েছে। ওই সময় রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। ফায়ার সার্ভিস প্রায় আধাঘণ্টা পরে আসে। রাস্তায় অনকে জ্যাম থাকার কারণে তাদের আসতে দেরি হয়। আমি বিস্ফোরণের পর ভিডিও করি। ওই সময়ে মানুষ দৌড়াদৌড়ি শুরু করেছে। ’
ভবনের আর একটু দূরে সজীব নামে একজন রস বিক্রি করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে শব্দ শুনে মনে করছি টায়ার ফাটছে। পরে ট্রান্সমিটারে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে। দেখি ধোঁয়ায় অন্ধকার। গিয়ে দেখি কারো হাত নেই, কারো মাথায় রক্ত। সবাই রিকশা-ভ্যানে করে হাসপাতালে যাচ্ছে। বিস্ফোরণের সময় ভূমিকম্পের মতো মনে হইছে। ’
এ সময় আরও কয়েকজন জানান, ‘বিস্ফোরণ এত বড় যে, মনে হয় ভূমিকম্প হলো!’
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
এমআইএইচ/এমজেএফ