ঢাকা: ফুলবাড়িয়ার সিদ্দিক বাজারে বিস্ফোরণ হওয়া কুইন্স স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনের নথি ঘটনার তিন দিন পরও খুঁজে পায়নি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
রাজউকের সদস্য (উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাশ বলেছেন, নথির খোঁজ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজউকের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসেন। সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তন্ময় দাশ।
তিনি বলেন, অনেক পুরনো এই ভবনের নথি ম্যানুয়ালভাবে রাখা। বুধবার (৮ মার্চ) শবে বরাতের ছুটি থাকায় নথি খুঁজতে দেরি হয়েছে। কয়তলার অনুমতি ছিল সেটা নথি দেখলে জানা যাবে।
দুর্ঘটনার ৩ দিন পার হলেও কেন নথি পাওয়া যাচ্ছে না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তন্ময় বলেন, ২০১৯ সালের মে মাস থেকে রাজউকে নতুন নকশাগুলো ডিজিটালাইজড করা হয়েছে। আগের নথিগুলোরও সফটকপি তৈরি করা হচ্ছে।
বিস্ফোরণের পর সাততলা ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এ সম্পর্কে তন্ময় দাশ বলেন, রাজউকের কমিটি বুধবার রাত ১০টা পর্যন্ত পরিদর্শন করেছে। আজ (বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ) দুপুর ১২টা থেকে ১টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। ভবনটি মেরামত বা সংস্কার করা যাবে নাকি অপসারণ করতে হবে তা কমিটির প্রতিবেদনে উল্লেখ থাকবে।
এ ছাড়া আগামী ৭ দিনের মধ্যে শহরের যত ভবনের বেজমেন্টে রেস্টুরেন্ট ও মার্কেট আছে, সেগুলোর তালিকা করা হবে বলেও রাজউকের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ শাখার এ সদস্য জানান। তিনি বলেন, রাজউকের আটটি জোনের ২৪টি সাব-জোনে সরেজমিনে পরিদর্শন করে তালিকা করা হবে। মার্কেট ও রেস্টুরেন্টে ভেন্টিলেশন রয়েছে কিনা, অনুমোদন আছে কিনা- যাচাই করা হবে।
এর আগে রাজউক জানিয়েছিল সিদ্দিক বাজারের ক্ষতিগ্রস্ত সাততলা ভবনটি ৪৫ বছরের পুরনো।
গত মঙ্গলবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে ব্যাপক ক্ষতি হয় কুইন্স স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত ভবনটি। মারা গেছেন ২০ জন, আহত শতাধিক। ঘটনার পর উদ্ধার সংশ্লিষ্টরা জানান, পিলারগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ফলে ভেতরে ঢুকে উদ্ধার কাজ চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তারপরও তারা কার্যক্রম জারি রেখেছিলেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৩
এনবি/এমজে