ঢাকা, শুক্রবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা: যুবলীগ নেতা বহিষ্কার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
নারী কর্মকর্তাকে লাঞ্ছনা: যুবলীগ নেতা বহিষ্কার বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা মেহবুব ম্যানসেল।

যশোর: যশোর জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্রে গিয়ে প্রতিবন্ধীবিষয়ক নারী কর্মকর্তা মুনা আফরিনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় যশোর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহবুব রহমান ওরফে ম্যানসেলকে (৩৬) দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।  

বুধবার (০৮ মার্চ) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাবে বহিষ্কারের চিঠি ছড়িয়ে পড়েছে।

এছাড়া বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান।  

তিনি বলেন, ‘সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে যশোর পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ থেকে মেহবুব রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বুধবার সাময়িক বহিষ্কারের ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। ’

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা মেহবুব রহমান ওরফে ম্যানসেল পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তার নামে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

যশোর কোতোয়ালি থানায় ১৩টি মামলা রয়েছে মেহবুব রহমানের নামে। ২০১৯ সালে পুলিশি অভিযানের সময় মেহবুব তার বাড়ির ছাদে গুলিবিদ্ধ হন। এতে মেহবুবের একটি পা কেটে ফেলতে হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মার্চ বেলা তিনটার দিকে জেলা প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে যান যুবলীগ নেতা মেহবুব রহমান। রেজিস্ট্রেশন করার পর তাকে ব্যায়াম দেখানো হয়। ব্যায়ামের পর একটি মেশিনে তার থেরাপি নেওয়ার কথা ছিল। প্রতিষ্ঠানের কর্মী আল আমিন ওই মেশিন প্রস্তুত করে দেন। এ সময় কেন্দ্রের প্রধান কর্মকর্তা মুনা আফরিন আল আমিনকে ডাক দিলে তিনি মেশিনটি চালু না করে দিয়েই চলে যান। এরপর মেহবুব ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন আল আমিনকে ডেকে মারধর করেন।  
চিৎকার শুনে মুনা আফরিন নিচে নেমে এলে তিনিও লাঞ্ছিত হন।  

এ ঘটনায় মুনা আফরিন বাদী হয়ে ওই দিন বিকেলেই কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় মেহবুবসহ চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালতে হাজির করলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, সরকারি অফিসে ঢুকে কাজে বাধা দেওয়া, কর্মকর্তাকে লাঞ্ছিত করা, কর্মচারীকে মারপিট ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগে মেহবুব রহমান ওরফে ম্যানসেলের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার সবাই পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী। তাদের নামে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি, হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসে কেন্দ্র থেকে সরাসরি প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মেহবুবসহ বিতর্কিতদের অন্তর্ভুক্ত করে যশোর যুবলীগ আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে শহরে মিছিল-সমাবেশ করে। তবে, ওই আহ্বায়ক কমিটি বহাল রেখেই চলছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২৩
ইউজি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।