ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সব জেলায় নারী সার্কেল এসপি দিতে চাই: আইজিপি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
সব জেলায় নারী সার্কেল এসপি দিতে চাই: আইজিপি

ঢাকা: প্রতিটি জেলায় সার্কেল এসপি হিসেবে পুলিশের নারী সদস্যদের দেওয়ার কথা জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

সোমবার (১৩ মার্চ) রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইজিপি এ কথা বলেন।

‘ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন জেন্ডার বৈষম্য করবে নিরসন প্রতিপাদ্যে’ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

অনুষ্ঠানে আইজিপি বলেন, সার্কেল এসপি কিংবা সার্কেল অ্যাডিশনাল এসপি হিসেবে যখন একজন নারী সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন, তখন তার মধ্যে কনফিডেন্সের ডেভেলপমেন্ট হবে। সেই কনফিডেন্স কাজে লাগিয়ে পুলিশের নারী সদস্যরা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন।

নারীদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, আমি যদি আমার অধিকার পেতে চাই, তবে সোচ্চার হতে হবে। আন্দোলন-সংগ্রাম ও যোগ্যতা প্রমাণের মধ্য দিয়ে অধিকার আদায় করে নিতে হবে। বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যরা নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। নারী পুলিশ সংযোজনের ফলে আমাদের সক্ষমতার মাত্রা বেড়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশে নারীদের উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ রয়েছে উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, বর্তমানে পুলিশ বাহিনীতে চার জন নারী ডিআইজি, ২৪ জন নারী অতিরিক্ত ডিআইজি ও ৬৪ জন নারী পুলিশ সুপার রয়েছেন। নারী পুলিশ ক্যাডারের সংখ্যা ২৯৯ জন। পুলিশে আরও নারী সদস্য বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আশা করছি ধীরে ধীরে এ সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশে নারী সদস্যের সংখ্যা দুই ভাগ থেকে বেড়ে বর্তমানে আট ভাগে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশে নারী সদস্যের সংযোজনের ফলে আমাদের সক্ষমতার মাত্রা অনেক বেড়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশে নারীর পদচারণা একসময় এতটা মসৃণ ছিল না। তখন তাদেরকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশে নারীদের অবস্থান আজ সুদৃঢ় হয়েছে পূর্বসূরিদের দেখানো পথ ধরে। আজকে নারী পুলিশ সদস্যরা দক্ষতার সঙ্গে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, প্রতিটি থানায় নারী ও শিশু ডেস্ক স্থাপনের ফলে নারী ও শিশু ভুক্তভোগীরা নির্দ্বিধায় তাদের সমস্যার কথা খুলে বলতে পারছেন। সেই অনুযায়ী সেবাও দেওয়া হচ্ছে। এতে পুলিশ জনবান্ধবে পরিণত হচ্ছে। নারী পুলিশ সদস্যরা পুলিশের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধিতে ও পুলিশের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধিতে যেভাবে দায়িত্ব পালন করছেন, তা জনগণের কাছেও প্রশংসনীয়।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ চালু করার ফলে সফলভাবে এটি পরিচালনা করতে পেরেছি। আর তা শুধুমাত্র নারী পুলিশ সদস্যদের একাগ্রতায় সম্ভব হয়েছে।  

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) প্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক প্রফেসর ড. তানিয়া হক। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ফাতেমা বেগম, সাবেক ডিআইজি মিলি বিশ্বাস, এসবির ডিআইজি ও বাংলাদেশ পুলিশ উইমেন নেটওয়ার্কের (বিপিডব্লিউএন) সভাপতি আমেনা বেগম।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৩
এসজেএ/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।