ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

পুরো রমজানের বাজার একবারে না করার অনুরোধ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
পুরো রমজানের বাজার একবারে না করার অনুরোধ

ঢাকা: আসন্ন পবিত্র রমজানকে কেন্দ্র করে একবারে পুরো মাসের বাজার না করতে ক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিশেষ তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ অনুরোধ জানান।

ভোক্তাদের উদ্দেশে মনজুর মোহাম্মদ বলেন, সামনে রোজা। দয়া করে আপনারা এক মাসের বাজার একসঙ্গে কিনতে যাবেন না। আপনারা ১০ দিনের বা এক সপ্তাহের বাজার করেন। হঠাৎ বেশি পণ্য কিনলে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়। তখন কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা ফায়দা লুটার চেষ্টা করে। এ কারণে অনুরোধ করবো, আপনারা একসঙ্গে পুরো মাসের বাজার করবেন না।

উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, রোজার আগের দিন আপনারা বেগুন কিনতে যাবেন না। আমরা যদি একসঙ্গে অনেক মানুষ বেগুন কিনতে চাই, তাহলে উৎপাদন-সরবরাহের থেকে চাহিদা বেড়ে যাবে। আর চাহিদা বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীরা মুনাফা লাভের চেষ্টা করেন। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি, আপনারা দেখে, শুনে, বুঝে পণ্য কিনুন। পবিত্র মাহে রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখুন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছে। আমরা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিত্যপণ্যের বাজার, বিশেষ করে রমজান কেন্দ্রিক পণ্যের মূল্য ও সরবরাহ ঠিক আছে কিনা তা দেশব্যাপী যাচাই করছি। আজকে কারওয়ান বাজারের মুদি ও মুরগির বাজার তদারকি করা হয়েছে। তদারকিতে দেখা গেছে, রমজান কেন্দ্রিক যেসব পণ্য রয়েছে, যেমন ছোলা, চালের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া অন্যান্য পণ্যের দামও বাড়েনি বলে তারা জানিয়েছেন।  
তিনি বলেন, চিনির বিষয়ে কয়েকজন দোকানদার অভিযোগ করেছেন। দুই একটি কোম্পানি চিনির সঙ্গে অন্য পণ্য ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এটি ঠিক নয়। আমরা এ বিষয়ে সেসব কোম্পানির সঙ্গে আজকেই কথা বলবো।

ব্যবসায়ীদের অনুরোধ জানিয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, এবার এফবিসিসিআই থেকে শুরু করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সবাই সমন্বিত হয়ে কাজ করছি। আমরা সবাইকে অনুরোধ করেছি, যার যার অবস্থান থেকে অর্পিত দায়িত্ব পালন করার। পাশাপাশি কোনো বাজারে বা কোনো মার্কেটে আমরা যদি কোনো রকম অনিয়ম পাই, তাহলে ওই মার্কেটের বা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে ধরা হবে। কারণ ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর দায়বদ্ধতা রয়েছে। ইতোমধ্যে একটি বাজারে অনিয়ম পাওয়ার পর আমরা সেই বাজারের ব্যবসায়ী সমিতিকে শোকজ দিয়েছি। তারা আর অনিয়ম হবে না মর্মে মুচলেকা দিয়েছে।

সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করলে রমজানে কষ্ট হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, আমাদের সরবরাহের কোনো ঘাটতি নেই। মূল্যে কেউ কারসাজি করলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ সময় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ও ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান আব্দুল জব্বার মণ্ডলসহ অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের চাল, ফল ও মুরগির দোকানে তদারকি করেন তারা। এ সময় চেরি ফলের নামে রং দেওয়া করমচা বিক্রি, প্যাকেটের গায়ে উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ, মূল্য ও প্রস্তুতকারকের নাম না থাকায় এবং কাসুন্দির বোতলে উৎপাদনকারীর নাম না থাকায় আল্লার দান ফল বিতান নামে একটি দোকানকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন তারা। এছাড়া মুরগির বাজারের প্রতিটি দোকানের মূল্য তালিকায় ব্রয়লার মুরগির দাম ৫ টাকা কমানোর নির্দেশনা দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০২৩
এসসি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।