ঢাকা, শনিবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

মশক নিধনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ডিএনসিসি 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
মশক নিধনে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ডিএনসিসি 

ঢাকা: মশক নিধনে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।

রোববার (১৯ মার্চ) সকালে ডিএনসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন মিরপুরের বাইশটেকি এলাকায় সপ্তাহব্যাপী এ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।

অভিযানের উদ্বোধনে অংশ নেন প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা, অঞ্চল-০২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।  

আজ থেকে শুরু হওয়া বিশেষ এ অভিযান চলবে আগামী ২৫ মার্চ পর্যন্ত। ডিএনসিসির প্রতিটি অঞ্চলের সব ওয়ার্ডে এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে।

শুষ্ক মৌসুম শুরুর কারণে ইতোমধ্যেই নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কিউলেক্স মশার প্রকোপ বেড়েছে। কিউলেক্স মশার প্রকোপবাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে মশক নিয়ন্ত্রণে মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ১৯ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী (শুক্রবার ব্যতীত) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রমে ৪০০ X ৪০০ গ্রিড পদ্ধতিতে প্রতি ওয়ার্ডকে ৬ ভাগে ভাগ করে প্রতি এক ভাগে এক দিন নিবিড়ভাবে লার্ভিসাইডিং এবং ফগিং কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এ কার্যক্রমে আগে শনাক্তকৃত মশার প্রজননস্থল হিসেবে চিহ্নিত সব হটস্পটে ব্যাপকভাবে কীটনাশক প্রয়োগ এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হটস্পট অপসারণ করা হবে।

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। এখন বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়েছে। তাই আমাদের রুটিন কাজের পাশাপাশি সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রম শুরু করেছি। এ অভিযানের আরেকটি উদ্দেশ্য হলো জনগণকে এই বিষয়ে সচেতন করা। জনগণকে সচেতন হতে হবে। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি জনগণ সচেতন হলে এবং দায়িত্ব পালন করলেই আমরা মশাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। ’

এ সময় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. জামাল মোস্তফা বলেন, ‘মিরপুরের বাইশটেকি এলাকায় বেশ কয়েকটি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করলাম। একটি নির্মাণাধীন ভবনে ফাউন্ডেশনের জন্য কয়েকটি গর্ত খুঁড়েছে এবং প্রতিটি গর্তে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় অসংখ্য লার্ভা পেয়েছি। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিনদিন সময় দিয়েছে এগুলো নিয়ম মেনে ব্যবস্থাপনা করার জন্য। ভবন মালিককে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে যেন পানি না জমে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘ডিএনসিসির মেয়রের নির্দেশে বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। নগরবাসীর প্রতি আহ্বান নিয়ম মেনে ভবন নির্মাণ করতে হবে। নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণ করে মশার চাষ করবেন সেটি মেনে নেওয়া যাবে না। মশা উৎপাদন করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, জেল-জরিমানা করা হবে। সিটি কর্পোরেশন প্রতিনিয়ত কাজ করছে। নগরবাসীকেও নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।