ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনী নদীতে বারুণী স্নান আর জমে না

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
ফেনী নদীতে বারুণী স্নান আর জমে না

ফেনী: এ পাশে এক বাংলা ওপারে আরেক বাংলা। ভাষা এক হলেও দেশ দুই।

মাঝখানে সীমারেখা টেনেছে নদী। প্রতি বছরের চৈত্রের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে এখানে জমে উঠতো বারুণী স্নান। সেই স্নাণকে ঘিরে দুই পাড়ে বসতো প্রাণের মেলা। এপাড়ের আত্মীয়রা যেতো ওপাড়ে। ওপাড়ের আত্মীয়-স্বজনরা আসতো এপাড়ে।

একদিনের জন্য ফেনী নদীর দুই পাড়ের সীমান্তরক্ষী বাহিনীও এদেশ থেকে ওদেশে যাতায়াত করতে দিতো পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলতো এই প্রাণের উৎসব। গত কয়েক বছর ধরে এই উৎসব আর জমে না।

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে দেখা যায় খাগড়াছড়ির রামগড়-দসাব্রুম সীমান্তবর্তী ফেনী নদীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বারুণী স্নান উৎসবে এবারও ভাটা পড়েছে।

এ উৎসবকে ঘিরে বিগত কয়েক দশকে দুই দেশের লাখো মানুষের মিলনমেলা হতো। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা ইসু এবং পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতির কারণে   ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সর্বোচ্চ সর্তকতা জারি করে সীমান্তে।

একই সাথে বাংলাদেশের পক্ষে বিজিবিও সর্তকতামূলক নিরাপত্তা জোরদার করে। এতে করে গত কয়েক বছর ধরে বারুণী স্নান উৎসব প্রাণহীন হয়ে পড়ে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নদীর মাঝখানে সীমারেখার ফিতা টেনে দিয়েছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। পুণ্য লাভের আশায় দুই বাংলার মানুষ নিজ নিজ সীমারেখার মধ্যেই স্নান করছে।

শত বছর থেকে চৈত্রের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে প্রতিবছর এই দিনে ফেনী নদীতে বারুণী স্নানে মিলিত হন দুই দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ। তারা পূর্ব পুরুষদের আত্মার শান্তির জন্য তর্পণ করেন এখানে। দুই বাংলার মানুষ চায় অতীতের মতো আবারো মুক্তভাবে চালু হোক এই উৎসব।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
এসএইচডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।