ঢাকা, রবিবার, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৬ মে ২০২৪, ১৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সিভিল সার্জনের সই-সিল ব্যবহার করে নিয়োগপত্র, গ্রেফতার এক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩
সিভিল সার্জনের সই-সিল ব্যবহার করে নিয়োগপত্র, গ্রেফতার এক আটক ব্যক্তি

দিনাজপুর: দিনাজপুরের সিভিল সার্জনের নাম, স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার ঘটনায় আশিকুর রহমান (২৬) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে পাঁচটি জীবন বৃত্তান্ত, দুটি সিমসহ একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

আশিকুর রহমান দিনাজপুর শহরের দক্ষিণ বালুবাড়ীর সিদ্দিকুল আলমের ছেলে।

রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় প্রতারণার বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিয়ে এতথ্য জানান সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ জিন্নাহ আল মামুন।

এ সময় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান, কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মওলা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এসআই রাজা উপস্থিত ছিলেন।

প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, বিভিন্ন অফিসে চাকরি দেওয়ার কথা বলে গ্রামের সহজ, সরল ও নিরীহ লোকদের টার্গেট করে তাদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়ে আসছিলেন আশিকুর রহমান। এরই ধারাবাহিকতায় বীরগঞ্জ উপজেলার দেবীপুর গ্রামের কলেজ ছাত্রী স্বরসতী রায়কে টার্গেট করে প্রথমে তাকে চাকরির প্রলোভন দেখান। এতে স্বরসতী রায় আশিকুর রহমানের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ শুরু করেন। ১৬ মার্চ আশিকুর সিভিল সার্জনের নাম, স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করে সিভিল সার্জন অফিসের অফিস সহকারী-৩ পদে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র তৈরি করে স্বরসতী রায়কে দেন। এসময় স্বরসতী রায়ের কাছ থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা নেন প্রতারক আশিকুর। গত ১৮ মার্চ সিভিল সার্জন ডা. মো. বোরহান উদ্দীনের কাছে ভুয়া নিয়োগপত্রটি এলে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান এবং সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (সিএস) ডা. মো. সামিউল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, মামলাটি দায়েরের পর থেকে আসামি আশিকুর রহমান পলাতক ছিলেন। গত ১৮ মার্চ দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে পাঁচজন ভুক্তভোগীর জীবন বৃত্তান্ত জব্দ করা হয়। তাকে গ্রেফতারের পর আরও এক কলেজছাত্রীর কাছ থেকে ৩ লাখ ২০ হাজার নেওয়ার অভিযোগ পেয়েছি। আশিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ইতোপূবে একটি প্রতারণার মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলাটিতে তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।

উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকীর নাম, স্বাক্ষর ও সিল ব্যবহার করে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি জাতীয় দৈনিক মানবকণ্ঠ ও স্থানীয় দৈনিক খবর একদিন পত্রিকায় একটি ভুয়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রতারক চক্র। পরে প্রতারক চক্রের মূল হোতা আনিকা তাসনিম সরকার তিশা ও তার স্বামী আব্দুল মান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তিটি প্রকাশের পর ১৮ জনের কাছ থেকে কোটি টাকারও বেশি হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০২৩

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।