ঢাকা: গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের (জিটিটি) কাছে বাৎসরিক মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ও অর্জিত ছুটির অর্থ পরিশোধের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার (২২ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের সকল প্রাক্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের’ ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এসব দাবি জানান।
মানববন্ধনে তারা বলেন, ২০১৩ সালের শ্রম আইন (সংশোধিত) অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের বাৎসরিক লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকের অংশ। যা বিদ্যমান আইন অনুযায়ী পরিশোধ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টে প্রায় ৪ থেকে ৮ বছর ধরে কাজ করেছেন এমন সাবেক কর্মকর্তরা গত এক বছর ধরে তাদের প্রাপ্য ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ও অর্জিত ছুটির টাকা পরিশোধের জন্য মৌখিক ও লিখিত আবেদন করে আসছেন। কিন্তু গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের বর্তমান কর্তৃপক্ষ তা দিতে অকারণে নিরবতা পালন করছেন। যা শ্রম আইনের লঙ্ঘন।
তারা আরও বলেন, গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্ট আমাদের প্রাপ্য পাওনা তো দেইনি, বরং বিভিন্ন সময় আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। চাকরিরত অবস্থায় আমাদের যেসব অর্জিত ছুটি ছিল সেগুলোরও অর্থ পরিশোধ করেনি। ফলে বর্তমান মূল্যস্ফীতির এই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির চাকরিচ্যুত অনেক কর্মকর্তা- পরিবার পরিজন নিয়ে খুব কষ্টে আছেন।
মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের সাবেক সহযোগী আঞ্চলিক কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, চাকরিরত অবস্থায় আমাদেরকে বিভিন্ন সময় মানসিকভাবে হয়রানি করা হয়। যাতে আমরা চাকরি ছেড়ে চলে যাই।
অনতিবলম্বে মুনাফার ৫ শতাংশ লভ্যাংশ ও অর্জিত ছুটির পাওনা পরিশোধ না করা হলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয়ে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ সময় গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের দিনাজপুর এরিয়ার সাবেক এরিয়া ম্যানেজার মো. শাহাদাত হোসেনসহ প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৩
এসসি/এমএমজেড