ঢাকা, রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চান শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
শিক্ষার অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চান শিক্ষামন্ত্রী বক্তব্য রাখছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

ঢাকা: দেশের শিক্ষাখাতের অগ্রযাত্রায় গণমাধ্যমকে পাশে চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষায় আমাদের যে অগ্রযাত্রা, সে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পর্যায়েই আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে চাই।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশের যে এগিয়ে যাওয়া, তার অন্যতম অংশীদার আমাদের শিক্ষা পরিবার। শিক্ষায় আমাদের যে অগ্রযাত্রা, সে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিটি পর্যায়েই আমাদের সাংবাদিক বন্ধুদের সঙ্গে চাই। তারা আছেন এবং থাকবেন, এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আপনারা সবক্ষেত্রে বস্তুনিষ্ঠতা ও ইতিবাচকতা নিয়ে থাকবেন, সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি।  

ইরাব সভাপতি মীর মোহাম্মদ জসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর ও অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলাম, দৈনিক সমকালের সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমার শিক্ষা নিয়ে অনেক পরিকল্পনা করি। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করতে পারি না। উন্নত বিশ্বে আমরা দেখি শিক্ষার যখন একটি স্তর থেকে আরেকটি যওয়া হয় তখন সময় নষ্ট হয় না। কিন্তু আমাদের দেশে উচ্চমাধ্যমিক বা দ্বাদশ শেষ করে যখন শিক্ষার্থীরা যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের যাই তখন তাদের একটি বছর কেড়ে নেওয়া হয়। তখন এটা নিয়ে আমাদের জবাবদিহি করতে হয় না। এই ছোট ছোট পলিসি নিয়ে কাজ করতে হবে আমাদের।

অধ্যাপক ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অনেকগুলো ইতিবাচক কাজ হচ্ছে। এসবের জন্য যখন প্রমোট করতে হয়, প্রচারের আলাদা ব্যবস্থা করতে হয়। তখন মনে হয় ওই কাজটি গণমাধ্যমের কল্যাণে করতে পারলে আরও বেশি শক্তিশালী হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, সাংবাদিক বোরহানুল হক সম্রাট, সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালযয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ এন এম মেশকাত উদ্দীন, ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য আব্দুল হাসিব সিদ্দিক, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের যুগ্ম-পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার, স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সৈয়দ জাফর আলী।

এছাড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, ইউজিসি, মাউশি, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডসহ বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৩
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।