ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান পররাষ্ট্রসচিবের

ডিপ্লোম্যাটিক  করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
দেশের উন্নয়নে প্রবাসীদের ক্ষমতায়নের আহ্বান পররাষ্ট্রসচিবের

ঢাকা: পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নের রোল মডেল দেশে উত্তরণের অভিযাত্রায় প্রবাসীদের উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।  

জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ২০২৩ সালের আন্তর্জাতিক  অভিবাসন সংলাপের অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আয়োজিত ‘উন্নয়নের এজেন্ট হিসেবে প্রবাসী, অভিবাসী ও বাস্তুচ্যুত ব্যক্তিদের ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।

প্যানেল আলোচনায় অভিবাসন ব্যবস্থাপনার জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন নীতির কথা উল্লেখ করে বহির্বিশ্ব থেকে দেশে আর্থিক প্রবাহ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিশেষ করে রেমিট্যান্স পাঠানোর মাধ্যমে প্রবাসীদের সম্পৃক্ত করার ওপর জোর দেন পররাষ্ট্রসচিব মোমেন। এক্ষেত্রে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।  

তিনি বলেন, বিদেশের মাটিতে  নিজ দেশের পণ্যের অন্যতম ভোক্তা হিসেবে প্রবাসীরা রপ্তানি বৃদ্ধি ও রপ্তানি বৈচিত্র্য আনয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তারা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক মডেল তৈরিতে অবদান রাখেন এবং নিজ দেশে তাদের পরিবার ও পরিচালিত ব্যবসায়ে অর্থ পাঠিয়ে সেখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে তরান্বিত করেন।

স্বাগতিক ও উৎস- উভয় দেশের ক্ষেত্রেই তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নে দক্ষ প্রবাসীদের অপেক্ষাকৃত অধিকতর অবদানের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব নীতি-নির্ধারকদের স্বাগতিক দেশের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতি প্রণয়নে প্রবাসীদের অন্তর্ভুক্তি করার সুপারিশ করেন।

তিনি প্রবাসীদের ক্ষমতায়নে বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়িক মডেল উদ্ভাবন করতে এবং বিশেষত আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে তাদের দক্ষতা উন্নয়নে আরও বেশি বিনিয়োগ করার জন্য উন্নয়ন সহযোগীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের একটি রূপান্তরমূলক সমাধান হিসেবে ‘জিরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন এবং তাতে বক্তব্য দেন।

তিনি তার বক্তব্যে ২০২২ সালে প্লাস্টিক শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করাসহ জিরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অর্জনে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মহতি উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন এবং ২০৩০ সালের উন্নয়ন কর্মসূচিতে উল্লিখিত জিরো বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্য অর্জনে এ সংক্রান্ত শিক্ষার প্রসার, সচেতনতা বৃদ্ধি, ব্যবসায়িক নীতিতে উদ্ভাবন এবং আচরণগত পরিবর্তনের ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩ 
টিআর/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।