ঢাকা, শুক্রবার, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

টিসিবি কার্ড না পেয়ে ইউপি সচিবকে মারধর, মেম্বার আটক 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
টিসিবি কার্ড না পেয়ে ইউপি সচিবকে মারধর, মেম্বার আটক 

ফরিদপুর: টিসিবির পণ্য বিক্রির সময় বাড়তি কার্ড না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবকে পেটালেন এক মেম্বার।  

আহত ইউপি সচিবকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত ওই মেম্বারকে আটক করেছে পুলিশ।  

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ফরিদপুরে সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের পিয়াজখালী বাজারের সাম্পান চাইনিজ রেস্তোরাঁর পাশে এ ঘটনা ঘটে।

ভূক্তোভোগী ইউপি সচিবের নাম মো. সরোয়ার হোসেন (৩৬)। তিনি নারিকেল বাড়ীয়া ইউনিয়নের সচিব। তার বাড়ি সদরপুর ইউনিয়নের সতের রশি গ্রামে।  

তাকে লাঞ্ছিত ও মারধর করেছেন ওই ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. সুমন আকন্দ (৩৮)। তিনি ছৈজদ্দিন আকনের কান্দি গ্রামের বাসিন্দা।  

এলাকাবাসী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যাতায়তের সমস্যার কারণে বৃহস্পতিবার দিয়ারা নাড়কেল বাড়িয়া ইউনিয়নের  টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছিল সাম্পান চাইনিজ রেস্তোরাঁর পাশে। এ কাজে নিয়োজিত ছিলেন ইউপি সচিব সরোয়ার হোসেন ও তার সহযোগীরা। টিসিবি কার্ড ওয়ার্ডভিত্তিক পূর্বেই মেম্বারদের কাছে দেওয়া হয়।  ওই মেম্বারকেও ৮টি কার্ড দেওয়া হয়েছিল।  

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টিসিবি পণ্য বিতরণের সময় সচিবের কাছে অতিরিক্ত কার্ড দাবি করেন মেম্বার সুমন আকন্দ। এ নিয়ে সচিব ও সুমনের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইউপি সচিবকে মারধর শুরু করেন সুমন। এ ঘটনায় ইউপি সচিব আহত হন।

এলাকাবাসী আহত অবস্থায় ইউপি সচিব সরোয়ার হোসেনকে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।  

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার।  

তিনি বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ইউপি সচিব ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইউপি সদস্য বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।

ভুক্তভোগী ইউপি সচিব মো. সরোয়ার হোসেন জানান, ইউপি সদস্য সুমন আকন্দ আমার কাছে অন্যায় আবদার নিয়ে এসেছিলেন। আগে তাকে কার্ড দেওয়া হলেও বৃহস্পতিবার তিনি বাড়তি কার্ড চান। আমি তার এ দাবি না রাখলে তিনি আমাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন।  

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সুমন আকন্দের বক্তব্য না পাওয়া গেলেও এ বিষয়ে কথা বলেন তার স্ত্রী।  

তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শুনেছি আমার স্বামীর সঙ্গে সচিবের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি আইনের আওতায় চলে গেছে সে কারণে বিষয়টি আমরা আইনিভাবেই মোকাবিলা করব।

দিয়ারা নাড়কেল বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দীন সরদার বলেন, টিসিবি পণ্য দেওয়ার কাজ শুরু করে সদরপুর উপজেলা সদরে এক সভায় যোগ দিতে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে শুনেছি ইউপি সদস্য ও সচিবের মধ্যে অপ্রীতিকর একটি ঘটনা ঘটেছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২৩
এসএএইচ   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।