ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

ইউএনও’র বাসায় পড়ে থেকে নষ্ট হলো দুস্থদের খাদ্যসামগ্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপেন্ডন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৭, ২০২৩
ইউএনও’র বাসায় পড়ে থেকে নষ্ট হলো দুস্থদের খাদ্যসামগ্রী

বগুড়া: বগুড়ার ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসায় মিলল দুস্থদের জন্য সরকারের বরাদ্দকৃত ২৭০ বস্তা মেয়াদোত্তীর্ণ ও নষ্ট হয়ে যাওয়া খাদ্যসামগ্রী।

শুক্রবার (০৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বন্যাসহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ দুস্থ ও অসহায় পরিবারের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর থেকে মানবিক সহায়তা হিসেবে এসব খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত সময়মতো দুস্থদের মাঝে বিতরণ না করায় খাবারের মেয়াদ শেষ ও নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ইউএনও’র কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ জুন ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন সঞ্জয় কুমার মহন্ত। গত ৭ মার্চ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় তার বদলির আদেশ হয়। তিনি দাপ্তরিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি বরাদ্দের বিভিন্ন সমগ্রীর সাথে দুস্থদের খাবারও বুঝিয়ে দেন।

বৃহস্পতিবার বিকেলে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে মজুদ রাখা দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত খাবারের বস্তা ভ্যানে করে উপজেলা চেয়ারম্যানের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রতি বস্তায় রয়েছে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ২ কেজি চিড়া, ২ কেজি চিনি, ২ লিটার সয়াবিন তেল, গুড় ও ১ প্যাকেট সেমাই। বস্তার গায়ে লেখা আছে ২০২০-২১ অর্থ বছরে বরাদ্দকৃত এসব খাবার। ইউএনও’র বাসা থেকে খাবারের বস্তাগুলো বের করার সময় তা নজরে আসে।

ধুনট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই খোকন জানান, বদলিজনিত কারণে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্তের শেষ কর্মদিবস ছিল। চাকরির বিধি মোতাবেক রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় তার বদলির আদেশ হয়েছে। তার বাসায় মজুদ রাখা দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৭০ বস্তা খাবার বুঝে পেয়েছি। তবে অধিকাংশ বস্তার খাবারই নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের সভায় খাবারগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সঞ্জয় কুমার মহন্ত জানান, ২০২২ সালের ২৫ জুলাই ৫০০ বস্তা খাবার বরাদ্দ পাওয়া যায়। কিন্তু এলাকায় বন্যা না হওয়ায় খাবারগুলো বিতরণ না করে বাসায় সংরক্ষণ করি। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় দুস্থদের মাঝে ২৩০ বস্তা খাবার বিতরণ  করা হয়েছে। অবশিষ্ট খাবার ঈদের আগে আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের মাঝে বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে বদলির আদেশ হওয়ায় তা উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেছি। তবে কয়েকটি বস্তার খাবার নষ্ট হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২৩
কেইউএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।