ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদের ‘হিস্টোরিসাইজিং ১৯৭১ জেনোসাইড: স্টেট ভার্সেস পারসন’ বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির প্রতিবাদে নিন্দা জানিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’।
রোববার (৯ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, অধ্যাপক ইমতিয়াজ তার বইতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের পর ‘জয় বাংলা’-র সঙ্গে ‘জয় পাকিস্তান’ বলেছিলেন বলে উল্লেখ করেন। এই বইতে একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেন এবং একাত্তরের গণহত্যার বিচার না হওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধু ও তার সরকারকে দায়ী করেন। এছাড়া একাত্তরের গণহত্যার বিচারের ক্ষেত্রে ঐ সময়ের বাঙালিদের হাতে বিহারীদের হত্যার বিচার হওয়া উচিত বলে এই বইতে দাবি করেন।
‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ অধ্যাপক ইমতিয়াজের ইতিহাস বিকৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং গ্রন্থটি ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ সর্বোপরি ইতিহাসকে বিকৃত করার অপচেষ্টার জন্য অনতিবিলম্বে অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদকে জেনোসাইড স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান এবং তার উল্লেখিত বইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। ’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বইয়ে আলোচিত বিষয়গুলো ইতোমধ্যে রাষ্ট্রীয় ও একাডেমিকভাবে সমাধান হয়েছে। এগুলো নিয়ে নতুন করে বিতর্কের কোন জায়গা নেই। ‘জয় বাংলা’ দিয়ে শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃত। অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদের ‘জয় পাকিস্তান’ স্লোগানের দাবি ইতিহাসের অনস্বীকার্য বিকৃতি। তিনি আন্তর্জাতিক পরিসরে স্বীকৃত ‘জয় বাংলা’ সম্বলিত ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণটিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। অধ্যাপক আহমেদ তার গ্রন্থে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর হিসেবে কাজ করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০২৩
এসএ