ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

নির্মাণাধীন বাড়িতে হাতবোমা-চিরকুট রেখে গেল দুষ্কৃতীরা, আতঙ্ক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
নির্মাণাধীন বাড়িতে হাতবোমা-চিরকুট রেখে গেল দুষ্কৃতীরা, আতঙ্ক

মেহেরপুর: মেহেরপুরের গাংনীতে নির্মাণাধীন একটি ভবনের সিঁড়ি থেকে বোমাসাদৃশ্য চারটি বস্তু ও একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। চিরকুটের লেখায় চাঁদার জন্য হুমকি রয়েছে।

 

উদ্ধার চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘বিশ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত এই ঘরে একটা ইট গাঁথা যদি হয়, তাহলে এই বোমাগুলো থুয়ে গেলাম। পরের বার তোদের মাথায় ফেলবো, কথাটা মোনে রাখিস’।  

সোমবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে গাংনী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান ও এসআই জিয়াউর রহমারসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামের মোল্লাপাড়া এলাকার বিশারথ আলীর বাড়ির সামনের সিঁড়ি থেকে বোমাসাদৃশ্য বস্তুগুলো উদ্ধার করে। তবে, এগুলো আদৌ বোমা কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে পুলিশ।

এর আগে সকাল ৭টার দিকে বিশারথ আলীর বাড়ির সিঁড়িতে বাজার করার একটি ব্যাগের উপর লাল টেপ মোড়ানো বোমাসাদৃশ্য বস্তুগুলো দেখে পুলিশকে খবর দেন বাড়ির লোক।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বলেন, হিজলবাড়িয়া গ্রামের মোল্লাপাড়া এলাকার বিশারথ আলীর বাড়ির সিঁড়ির উপর বোমাগুলো দেখে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে বোমা সাদৃশ্য বস্তুগুলো উদ্ধার করে পানিভর্তি বালতিতে রাখা হয়েছে। বোমার উপর একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। সেখানে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা। তবে এগুলো যাছাই-বাছাই করা হচ্ছে।

বাড়ির মালিক বিশারথ আলী বলেন, আমি একটি বাড়ি বানাচ্ছি। এ কারণে এই বোমা ও চিরকুট রেখে গেছে দুষ্কৃতীরা। এখন আমার পরিবারের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাল টেপ মোড়ানো বোমা সাদৃশ্য ৪টি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। সেগুলো আসলে বোমা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া এলাকায় আতঙ্ক ছড়ানোর জন্য যারাই এই কাজটি করেছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।