বরগুনা: বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের গৃহকর্মী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ এনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেছেন ওই নারী।
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে আদালতে মামলা করেছেন অন্তঃসত্ত্বা নারী।
বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মশিউর রহমান খান মামলাটি গ্রহণ করে বরগুনার সিআইডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে সাত কার্যদিবসের মধ্য অনুসন্ধান প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া গ্রামের তালাকপ্রাপ্ত ৩০ বছর বয়সী ওই নারী।
অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী মৃত ইয়াকুব আলী ওরফে কালা মিয়া চৌকিদারের ছেলে ইলিয়াস হোসেন প্রায়ই তার বাবার বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। ইলিয়াস বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর প্রথমে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। ইলিয়াস ২০২৩ সালের ২ এপ্রিল পর্যন্ত ওই নারীকে তার বাবার বাড়িতে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করেন। এতে ওই নারী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন।
ওই নারী বলেন, আমি ইলিয়াসকে ৫ এপ্রিল আমার ভাই বাবুলের মাধ্যমে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি। ইলিয়াস বিয়ে করতে রাজি হয়নি। ৯ এপ্রিল বরগুনা থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা না নিয়ে ট্রাইব্যুনালে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছে।
ইলিয়াস হোসেন বলেন, ওই নারী দেড় বছর পর্যন্ত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন। চেয়ারম্যান নিজে বাঁচার জন্য আমার বিরুদ্ধে দোষ চাপিয়ে মিথ্যা মামলা করায়। আমি ডিএনএ পরীক্ষা চাই। আমি ডিএনএ পরীক্ষায় দোষী হলে আমার যে শাস্তি হবে আমি তা মেনে নেবো। একইসঙ্গে ইলিয়াস ওই চেয়ারম্যানের ডিএনএ পরীক্ষারও দাবি জানান।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অন্তঃসত্ত্বা নারীর মা বলেন, আমার মেয়ে চেয়ারম্যানের বাড়িতে দীর্ঘদিন কাজকর্ম করে এ কথা সত্য।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, ওই নারী বরগুনা থানায় মামলা করতে আসেননি। মামলা করতে এলে অবশ্যই মামলা নিতাম।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৩
এএটি